সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ইংলিশ বানান নিয়ে পদে পদে হয়রানি ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন প্রবাসীরা। সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীদের এসব বানান বিভ্রান্তির কারণে পাসপোর্ট ও ভিসা বাতিল হওয়ার উপক্রম বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জবাসীর পক্ষে সিলেট জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও সচিবালয়সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কাশেম আহমদ নামের এক তরুণ আবেদন করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না।
জানা যায়, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার নাম ইংরেজিতে মোট ছয় রকমের বানানে লিখা হচ্ছে। এমনকি সরকারি বিভিন্ন দপ্তর গুলোতেও জকিগঞ্জের ইংরেজী বানান চলছে যার যার মতো করে। কেউ Zakiganj, কেউ লিখছেন Zakigonj, কেউ লিখছেন Zokiganj। আবারও অনেক সময় দেখা যায় কেউ লিখছেন Jokigonj, আবার কেউ লিখেছেন Jakigonj, আবার কেউ কেউ লিখছেন jakiganj। এমন বানান বিভ্রান্তিতে পড়ে দেশে-বিদেশে কত মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানী ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন তার কোন হিসেব নেই।
প্রতিকার চেয়ে দেয়া আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বর্তমানে পাসপোর্টে অনেক সময় “Zokigonj” বানান ব্যবহার করা হচ্ছে, যেখানে পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে লেখা হচ্ছে “Zakigonj”। এই ভিন্নতা একদিকে বিভ্রান্তি তৈরি করছে, অন্যদিকে বিদেশগামীদের জন্য বড় ধরনের প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি করছে। অনেক আবেদন বাতিল হচ্ছে, সময়ক্ষেপণ ও আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে আবেদনকারীদের।
ভুক্তভোগীরা দাবি করেন, সরকারি সব কাগজপত্রে একক ও সঠিক বানান হিসেবে “Zakigonj” ব্যবহার করা উচিত। এ লক্ষ্যে তারা তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবিও উত্থাপন করেছেন: তন্মধ্যে ১। পাসপোর্ট ও পুলিশ ক্লিয়ারেন্সে “Zakigonj” বানানকে একক ও বাধ্যতামূলক হিসেবে নির্ধারণ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান। ২। যেসব প্রবাসীগণ পূর্বে ভুল বানানের কারণে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন, তাদের ডকুমেন্ট যাচাই করে সংশোধনের ব্যবস্থা গ্রহণ। ৩। বিষয়টি নিয়ে থানা, পাসপোর্ট অফিস ও জেলা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পরিপত্র জারির মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবেদনকারী কাশেম আহমদ জানান, একই উপজেলার ইংরেজী বানান একাধিক নিয়মে ব্যবহারের কারণে অনেকে বিদেশে গিয়ে প্রবেশে বাঁধা পেয়েছেন বা কাগজপত্রে অসঙ্গতির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন। আমরা চাই, সরকার দ্রুত উদ্যোগ নিয়ে এই সমস্যা সমাধান করা দরকার।
Leave a Reply