নিজের দাপ্তরিক কাজের ফাঁকে জকিগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে দেখা গেছে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম মিতু-কে। রোববার বিকাল ২ টা ৩০ মিনিটের সময় ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের ৯৩নং সুরানন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন শেষে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পড়াতে দেখা গেছে। আর এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসতে দেখা যায়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরাও উপভোগ করেন একজন উপজেলা প্রশাসকের শ্রেণি পাঠদান।একজন ইএনওর এই কর্মকাণ্ডে খুশি শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ এমদাদুল হক, সমাজসেবা কর্মকর্তা বিনয় ভূষণ দাস, প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সমবায় কর্মকর্তা মোঃ ফখরুদ্দিন ও জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ সভাপতি রহমত আলী হেলালীসহ অনেকেই।
স্থানীয় এলাকাবাসীর মতে, ইউএনও স্যারের এমন মহৎ কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকলে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষার মান অনেক দূর এগিয়ে যাবে। একজন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আকস্মিক বিদ্যালয়ে আসা এবং ক্লাস নেওয়ায় উচ্ছ্বস প্রকাশ করেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের ইউএনও স্যার ক্লাস নেবে এটা ভাবতেই পারি নাই। ইউএনও স্যার ক্লাস নিতে শুরু করলে প্রথমে ঘাবড়ে গেলেও পরে স্যারের হাসিমাখা কথা শোনে ভয় কেটে যায়। অনেক গল্প বলে বলে ইউএনও স্যার আমাদের অনেক সময় পড়ালেন। আমাদের খুব ভালো লাগছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ ফখরুল ইসলাম জানান, ইউএনও স্যার হঠাৎ আমাদের স্কুল পরিদর্শন ও ক্লাস নেয়ায় খুবই ভালো লাগছে। আমরা কিভাবে পাঠদান করাই সেটা উনি দেখেছেন এবং নিজেও ক্লাস নিয়েছেন। এতে করে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা তাসলিম মিতু বলেন, ‘শিক্ষার মূল ভিত্তি হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা। একজন শিক্ষার্থীর জীবনে এই শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে, শিক্ষার্থীদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ সৃষ্টি, দেশ ও মানবপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করা এবং সত্যিকারের মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সকলের খেয়াল রাখা উচিত। আমি নিয়মিত না পারলেও মাঝে মধ্যে ১/২টি বিদ্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য সচেতনতা বাড়াতে আমাদের মাঝে মধ্যে খোঁজখবর নেয়া দরকার।
Leave a Reply