জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান এবং শিক্ষা ও চিকিৎসা নিশ্চিত করতে দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ থেকে নীরবে কাজ করে আসা মানবতার অগ্রদূত ফাহিম আল্ চৌধুরী দেশে এসেছেন। গত ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে যুক্তরাজ্য থেকে তিনি দেশে ফিরে অনেকটা সারপ্রাইজ দিলেন নিজের ভক্ত, অনুস্মারী ও আপনজনকে। তিনি হঠাৎ মাতৃভূমি বাংলাদেশের মাটিতে চলে আসায় সবার মাঝে এক ধরণের চমক সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন থেকে দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেলেও দেখা মিলেনি জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের বৈপ্লবিক নেতা ফাহিম আল্ চৌধুরীর। কিন্তু এবার অনেকটা চুপিসারে চলে আসলেন দেশের মাটিতে। তবে তিনি এখনো অবস্থান করছেন রাজধানী ঢাকায়। সেখানে তিনি নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেয়ায় সিলেটে আসতে দেরী হচ্ছে।
ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান সমাজসেবী এটিএম সেলিম চৌধুরী ও সচিব শাব্বির আহমদ জানান, ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফাহিম আল্ চৌধুরী এবারের ট্রাস্টের মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজে উপস্থিত থাকবেন। সে লক্ষ ইতিমধ্যে তিনি ২০২৫ সালে ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের বৃত্তির সংখ্যা পূর্বনির্ধারিত ছিল ৪০০ জন শিক্ষার্থীর পরিবর্তে এই বৃত্তির সংখ্যা বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। তাঁরা জানান এই সিদ্ধান্ত কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা মাত্র নয়-এটি শত শত পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর, অসংখ্য শিক্ষার্থীর আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়ার এবং তাদের অদম্য স্বপ্নকে নতুন করে ডানা মেলানোর এক অনন্য মানবিক দৃষ্টান্ত।
ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে—যোগ্যতা কখনোই অর্থের অভাবে থেমে থাকা উচিত নয়। একজন শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানো মানে একটি পরিবারকে শক্তিশালী করা, আর একটি পরিবারকে শক্তিশালী করা মানে একটি জাতির ভবিষ্যৎ নির্মাণে অংশ নেওয়া। এই মহান উদ্যোগ আবারও প্রমাণ করে-ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট কেবল বৃত্তি প্রদানেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি আশার আলো জ্বালায়, স্বপ্নের পথ নির্মাণ করে এবং মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।
Leave a Reply