পঞ্চম ধাঁপে গত ৫ই জানুয়ারী অনুষ্ঠিত সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন-এর বির্তকিত নির্বাচন কেন বেআইনী ও অন্যায় ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুলনিশি জারি করেছেন হাইকোর্ট। জকিগঞ্জ উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন-এর পক্ষে হাইকোর্টে ৯নং মানিকপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন চৌধুরী’র দায়েরকৃত রিট শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১লা ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান দ্বয়ের দ্বৈত বেঞ্চ এ রুলনিশি জারি করে নির্বাচন কমিশনে পিটিশনারদের দায়েরকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন। রিট শুনানিতে পিটিশনার মাহতাব হোসেন চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফয়সল দস্তগীর ও সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন-এর চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ জানিয়েছেন, নির্বাচনে ৯টি ইউনিয়নে বানচাল ও ষড়যন্ত্রের শিকার হওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সম্মিলিতভাবে উচ্চ আদালতে এ রিট পিটিশন করেছেন। ৯টি ইউনিয়ন-এর রিটকারী প্রার্থীরা হলেন, ১নং বারহাল ইউনিয়ন-এর বুরহান উদ্দিন রনি, ২নং বীরশ্রী ইউনিয়ন-এর আব্দুছ ছালাম চৌধুরী পানু, ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর জুলকারনাইন লস্কর, ৪নং খলাছড়া ইউনিয়ন-এর আব্দুল মুনিম জামাল, ৫নং জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন-এর হাসান আহমদ, ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন-এর ইকবাল আহমদ চৌধুরী একল, ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়ন-এর নাসির উদ্দিন নছির, ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন-এর আব্দুর রাজ্জাক রিয়াজ ও ৯নং মানিকপুর ইউনিয়ন-এর মাহতাব হোসেন চৌধুরী।
উল্লেখ যে, এর আগে আরও পৃথক ৩টি রীট শুনানি শেষে মহামান্য হাইকোর্ট রুলনিশি জারি করে এরূপ নির্দেশনা দিয়েছেন। হাইকোর্টের এমন আদেশে জকিগঞ্জ উপজেলার সব ক’টি ইউনিয়ন নির্বাচন নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়েছে। তবে কি শেষ পর্যন্ত আবারও নির্বাচন হচ্ছে সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন সকল শ্রেনী পেশার মানুষ। হাইকোর্টে রিটকারীদের দাবী, উচ্চ আদালতে আইনী লড়াই করে তাঁরা আবারও সুষ্ঠুভাবে জনগনের ভোটাধিকার নিশ্চিত করবেন। যতক্ষণ পর্যন্ত জালিয়াতিপূর্ণ নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আইনী লড়াই চালিয়ে যাবার ঘোষণা দিয়েছেন তাঁরা।
Leave a Reply