জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন-এর শহিদাবাদ গ্রামের কামাল শাহ’র মাজারে সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীর ডাইক মেরামত নিয়ে একজন শ্রমিকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৮ মে) বিকাল সাড়ে ৪ টার দিকে নদী ভাঙ্গন রোধে কুশিয়ারা নদীর ডাইকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে বস্তা ফেলতে গিয়ে এ হামলার শিকার হন ওই শ্রমিক। হামলার শিকার শ্রমিক তাজুল ইসলাম (৩৫) স্থানীয় শহিদাবাদ গ্রামের মৃত সুয়াইবুর রহমান-এর ছেলে।
এ ঘটনায় শ্রমিক তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে একই গ্রামের ৩ জনের নাম উল্লেখ করে জকিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, শহিদাবাদ গ্রামের কামাল শাহ’র মাজারে সংলগ্ন কুশিয়ারা নদীর ডাইকের উপর দিয়ে পানি ঢুকতে শুরু করলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নির্দেশে তিনি অন্যান্য শ্রমিকদের নিয়ে ১০০ বস্তা মাটি ফেলতে শুরু করেন। এ সময় ডাইকের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত আয়াছ আলীর ছেলে হালন আহমদ, জাবেদ আহমদ কালন ও মৃত আছদ্দর আলীর ছেলে আব্দুর রব দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এখানে বস্তা না দিয়ে একটু দূরে তাদের ফিসারীর নিকট বস্তা দিতে বলেন। এনিয়ে তাদের সাথে শ্রমিকদের কথা কাটাকাটি হলে তারা সুপারী গাছের রুইল ও লোহার রড ইত্যাদি দিয়ে শ্রমিকদের উপর হামলা করলে বাদী তাজুল ইসলাম আহত হন।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা ডাইকে মাটির বস্তা দিতে গেলে বিবাদীরা শ্রমিকের উপর হামলা করে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ওই শ্রমিক। এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ে হামলাকারীদের এই আচরণ মারাত্মক অপরাধ বলে আমি মনে করি।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি স্বীকার করে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন।
Leave a Reply