জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে গণপরিবহনে ভাড়া নিয়ে বাড়াবাড়ি শুরু হয়েছে। এনিয়ে রাজপথে নেমেছে জকিগঞ্জবাসী। গলাকাটা ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানীর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছেন জকিগঞ্জের যাত্রীরা। ক্ষোভ দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মনেও।
এসবের প্রতিকার চেয়ে রোববার বিকাল ৩ ঘটিকার সময় জকিগঞ্জ এম.এ.হক চত্বরে মানবন্ধন করেছে জকিগঞ্জ যাত্রী অধিকার পরিষদ নামের একটি সংগঠন।
মানববন্ধনে বক্তারা সরকার নির্ধারিত ন্যায্য ভাড়া ধার্য্য করা ও তালিকা প্রদর্শন, যাত্রী হয়রানী বন্ধ, অধিক যাত্রী বহন নিষিদ্ধ, ফিটনেস বিহীন গাড়ি বন্ধ, দক্ষ ও বৈধ লাইসেন্সধারী চালক দ্বারা গাড়ী চালানো, গেইট লক ও বিরতিহীন গাড়ি যত্রতত্র থামানো বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের ভাড়া অর্ধেক
করার দাবী তুলে ধরা হয়।
এছাড়া মানববন্ধনে বক্তারা, জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে গণপরিবহনের শ্রমিকরা যাত্রীদের কাছ থেকে গলাকাটা ভাড়া আদায় করছে দাবী করে বলেন, গণশুনানী কিংবা যাত্রীদের প্রতিনিধিদের সাথে কোন ধরণের আলাপ-আলোচনা না করে গলাকাটা ভাড়া আদায় করতে দেয়া হবেনা। অহেতুক ভাড়ার বিরুদ্ধে জকিগঞ্জবাসী গর্জে উঠেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে গণবিরোধী গলাকাটা ভাড়া আদায় বন্ধ করতে পরিবহন মালিক ও প্রশাসন ব্যর্থ হলে সাধারণ জনগন কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যাবে। এ আন্দোলনে আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি ঘটলে গণপরিবহন মালিকরা ও প্রশাসন এর দায়ভার গ্রহণ করতে হবে। সাধারণ জনগনের দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবার হুশিয়ারীও দেন বক্তারা।
এতে বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমএজি বাবর, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজমল হোসেন, যুবলীগ নেতা আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেন চৌধুরী, সংগঠক একে আজাদ, ইউপি সদস্য কফিলুজ্জামান কফিল, মাওলানা আফতাব আহমদ, সালেহ আহমদ জালালী, পারভেজ আহমদ, হানিফ উদ্দিন সুমন, কাউছার আহমদ রুবেল, সুফান আহমদ, জুনেদ আহমদ, আহমদ হোসেন ও শামীম সাদেকসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মানবন্ধনে জকিগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।
Leave a Reply