জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আম্বিয়া বলেছেন, বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ায় এবং পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হিসেবে উর্দুকে চাঁপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকার ছাত্র ও সাধারণ জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। বাংলাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে ১৪৪ ধারা ভেঙে ছাত্র-ছাত্রীরা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারসহ আরও কয়েকজন বীর সন্তান। বায়ান্ন’র সেই বীর সেনাদের ত্যাগের ফসল আজকের আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় আজ বিশ্বব্যাপী বাঙালিদের মর্যাদা আপরিসীম।
তিনি গত মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জকিগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি বিদ্যানিকেতনে মাঠে ভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক প্রমোদ চন্দ্র দাসের সভাপতিত্বে ও ইংরেজি শিক্ষক বিশ্বম্ভর চন্দ্র বাঁধনের উপস্থাপনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল লতিফ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক রহমত আলী হেলালী, চৌধুরী বাজার প্রবাসী সমাজ কল্যাণ পরিষদ-এর সাবেক সভাপতি সমাজসেবী রশীদ আহমদ হানিফ ও বর্তমান সভাপতি ময়জুল হক তালুকদার।
এছাড়াও আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি বিদ্যানিকেতনের ম্যানেজিং কমিটি পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফারুক আহমদ, শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন এসএসসি পরীক্ষার্থী তাহমিনা বেগম ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মাজহার রহমান মাশরাফি।
আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যানিকেতনের ম্যানেজিং কমিটির অন্যতম সদস্য সমাজসেবী নাজিম আহমদ, ব্যবসায়ী আজমল হোসেন, সমাজসেবী হারুনুর রশীদ, প্রবাসী রুহুল আমীন রুমেল ও শিক্ষক বিমল দেবরায় প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি বিদ্যানিকেতনের পক্ষ থেকে অতিথিবৃন্দকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
Leave a Reply