জকিগঞ্জ উপজেলার মামরখানী এলাকা থেকে নিখোঁজের এক সাপ্তাহ পর ওয়াজেদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর সেই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জকিগঞ্জ উপজেলার সোনাসার এলাকা থেকে জকিগঞ্জ থানার এসআই বজলু মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। স্কুল ছাত্রী উদ্ধারের এক ঘন্টার মাথায় অভিযুক্ত মূল আসামী জাকির আহমদ (২৫)কে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সোমবার (৪ অক্টোবর) আটক জাকিরসহ তার দুই সহযোগীর বিরুদ্ধে অপহরন ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে ওই স্কুল ছাত্রীর মা’ বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। জকিগঞ্জ থানার মামলা নং-০১, তারিখ: ০৪/১০/২০২১ খ্রিস্টাব্দ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়ন-এর নিয়াগুল গ্রামের এক প্রবাসীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে নিজ বিদ্যালয়ে গিয়ে বিকেলে ফিরে আসেনি। নিখোঁজের ঘটনায় ওইদিনই মেয়ের মা’ জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। জিডি নং-১১০৮, তারিখ: ২৬.০৯.২০২১ খ্রিস্টাব্দ।
এদিকে ওই স্কুল ছাত্রী নিখোঁজের পর খোঁজাখুজি করতে গিয়ে পরিবার জানতে পারে, সে স্কুলে যাওয়ার পথে সকাল ১০ ঘটিকার সময় স্থানীয় মামরখানী গ্রামের ডাঃ মতিউর রহমানের বাড়ির পশ্চিম পাঁশের পাঁকা রাস্তার উপর পৌছামাত্র বিয়াবাইল গ্রামের ফারুক আহমদ-এর ছেলে জসিম উদ্দিন (২২) ও মৌলভীচক গ্রামের বুলাই মিয়ার ছেলে এনাম উদ্দিন (৩৫) এর সহযোগিতায় বিয়াবাইল গ্রামের মুসলিম আলীর ছেলে জাকির আহমদ (২৫) জোরপূর্বক সিএনজি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। মায়ের দাবী, তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করছে।
এ বিষয়ে মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা জকিগঞ্জ থানার এসআই বজলু মিয়া বলেন, ওই স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারে আমরা সর্বদা তৎপর ছিলাম। দীর্ঘ এক সপ্তাহ প্রচেষ্টা চালিয়ে তাকে কৌশলে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। ধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করতে সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অভিযুক্ত প্রধান আসামী জাকিরকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Leave a Reply