জকিগঞ্জের গর্বিত সন্তান বীরপ্রতীক ফজলুল হক-এর নামে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) রাজশাহী ব্যাটালিয়ন “বীরপ্রতীক ফজলুল হক গেইট” নামে একটি গেইটের শুভ উদ্বোধন করেছে। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে মহান মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার জন্য খেতাবপ্রাপ্ত জকিগঞ্জের একমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার ফজলুল হক বীরপ্রতীকের প্রতি সম্মান জানিয়ে এ নামকরণ করে বিজিবি।
প্রয়াত সুবেদার ফজলুল হক সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাজল এলাকার খাদিমান গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি যশোর এবং ৮নং সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাঁকে “বীরপ্রতীক” খেতাবে ভূষিত করে। সিলেট জেলার মাত্র ছয়জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার একজন ছিলেন তিনি, এবং জকিগঞ্জ উপজেলার একমাত্র।
জানা যায়, রাজশাহী ব্যাটালিয়নেই তিনি তার বর্ণাঢ্য চাকুরী জীবনের ইতি টেনেছিলেন। সেই স্মৃতিবিজড়িত স্থানে তাঁর নামাঙ্কিত গেইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তাঁর বড় ছেলে মাহবুবুর রহমান ডালিম। গেইটের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে বিজিবি তাঁর বীরত্ব ও আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বীরপ্রতীক সুবেদার ফজলুল হক এর ভাতিজা শাবিপ্রবি’র মেধাবী ছাত্র হাবিবুর রহমান মাসরুর বলেন- ” আমাদের বড় চাচা সুবেদার ফজলুল হকের পাশাপাশি তাঁর ছোট ভাই সাবেক ইউপি সদস্য গোলাম মস্তুফা মস্তু মিয়া ও মাওলানা ক্বারী সামছুল ইসলামও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুক্তিবাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকদের নানা উপায়ে সহায়তা করেন। তাঁদের অবদানের জন্য আমরা গভীর গর্ব অনুভব করি। বীরপ্রতীক ফজলুল হক গেইট উদ্বোধন এটি আমাদের পুরো উপজেলা ও অঞ্চলের জন্য গর্ব ও অনুপ্রেরণার। সরকারি পর্যায় থেকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই আরও কয়েকটি রাস্তার নাম বীরপ্রতীক ফজলুল হকের নামে নামকরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে এ উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, মরহুম সুবেদার ফজলুল হক বীরপ্রতীক ১৯৯৯ সালের ২১ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর মাগফিরাতের জন্য সর্ব মহলের নিকট দোয়া কামনা করা হয়েছে।
Leave a Reply