পঞ্চম ধাপে গত ৫ই জানুয়ারী সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৬টি ইউপি নির্বাচন নিয়ে নতুন করে আরেক রুলনিশি ও নির্দেশনা দিয়েছেন মহামান্য হাইকোট। পৃথক দু’টি রিট শুনানি শেষে হাইকোর্ট ইসির কাছে জবাব চেয়ে রুলনিশি জারি করেছেন জকিগঞ্জের বিতর্কিত ইউপি নির্বাচনের ফলাফল কেন বেআইনী ও অন্যায় ঘোষণা করা হবে না মর্মে ও নির্বাচন কমিশনে পিটিশনারদের দায়েরকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমাবার বিচারপতি মামনুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান দ্বয়ের দ্বৈত বেঞ্চে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসান আহমদ ও সুলতানপুর ইউনিয়নের সদস্য প্রার্থী আব্দুল খালিক তাপাদারের দায়েরকৃত পৃথক পৃথক রীট পিটিশনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিট শুনানিতে পিটিশনার হাসান আহমদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার ময়নুল হোসেন ও অপর রিটকারী আব্দুল খালিক তাপাদারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইকবাল কবীর। সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। তবে হাইকোর্টে দায়েরকৃত পিটিশনে উপজেলার বিরশ্রী ও খলাছড়া ইউনিয়নের নাম না থাকায় সেগুলো এই আদেশের আওতামুক্ত থাকবে বলে বাদী পক্ষের এক আইজীবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, গত সপ্তাহে জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের লুৎফর রহমান খাঁনসহ এলাকার বিশিষ্ট ১০ জন নাগরিক হাইকোর্টে রীট পিটিশন করে নির্বাচন বাতিল চেয়েছিলেন। পরে তাদের রীটের শুনানি শেষে বিচারপতি মামনুর রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামান দ্বয়ের দ্বৈত বেঞ্চ জকিগঞ্জের সুলতানপুর ইউপির বিতর্কিত নির্বাচনের ফলাফল কেন বেআইনী ও অন্যায় ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুলনিশি জারি করে নির্বাচন কমিশনে পিটিশনারদের দায়েরকৃত দরখাস্ত নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন।
Leave a Reply