গত ৫ই জানুয়ারী পঞ্চম ধাঁপে অনুষ্ঠিত জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল করে নতুন তফসিল অনুযায়ী পূনরায় নির্বাচনের আদেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ এনে নির্বাচন বাতিল চেয়ে পরাজিত মেম্বার পদপ্রার্থীদের পক্ষে হাইকোর্টে রীট আবেদন করেন ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন- এর ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী আব্দুল খালিক। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের দেয়া আদেশের কপি স্থানীয় সংবাদকর্মীদের হস্তগত হয়।
তবে আদেশনামা অনুযায়ী জানা যায়, মেম্বার প্রার্থী আব্দুল খালিকের আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩১শে জানুয়ারী বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চে রীট শুনানী হয়। সে অনুযায়ী গত ৩ ফেব্রুয়ারি এই রীটের আদেশ লিখিত আকারে প্রকাশিত হয়।
আদেশে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের দ্বৈত বেঞ্চ ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুন:তফসিল ঘোষণা করতে আদেশ প্রদান করেন।
জানা যায়, হাইকোর্টে রীটকারী আব্দুল খালিকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবি ওমিও চক্রবর্তী ও সরকার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
এদিকে সোমবার বিকেলে রীটকারী আব্দুল খালিক হাইকোর্টের প্রকাশিত লিখিত আদেশ কপিসহ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে একটি দরখাস্ত দাখিল করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসে।
উল্লেখ্য যে, গত ৫ই জানুয়ারী ইউনিয়ন ভোটের দিন বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের সময় রির্টানিং কর্মকর্তা শাদমান সাকীব ও আরিফুল হককে জকিগঞ্জের মরিচা ভোট কেন্দ্রের সামনে থেকে চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীর সিল দেয়া ও খালি ব্যালট পেপার, মুড়ি বই ৮টি, ব্যালেট বাক্সের সিলগালা লক ৮টি, নগদ টাকা ১ লাখ সাড়ে ২১ হাজার, ফেন্সিডিলের খালি বোতল, কালো রঙের ঢাকা মেট্রো-ঠ ১৩-৭০২৮ গাড়ীসহ সিলেটের জেলা প্রশাসক (ডিসি) এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, পুলিশ সুপার (এসপি) ফরিদ উদ্দিন পিপিএম ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শুক্কুর মাহমুদ মিঞার হাতে ধরা পড়েন। নির্বাচন কমিলন তাৎক্ষণিক ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ভোট গ্রহণ স্থগিত/বাতিল করা হয়। এ ঘটনায় দুই রির্টানিং কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মরিচা ভোট কেন্দ্রের ইনচার্জ সিলেটের জৈন্তা থানার এএসআই আব্দুল হাকিম বাদী হয়ে স্থানীয় সরকার আইনে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, সুলতানপুর ইউপির গণিপুর ভোটকেন্দ্রেও সীল মারা ব্যালেট পেপার বাক্সে ভরার ঘটনায় উত্তেজিত ভোটাররা ঐ কেন্দ্রের ব্যালেট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে পুকুরে ফেলে দিলে গণিপুর কেন্দ্রের ভোটগ্রহণও স্থগিত করা হয়। এরপর পুরো উপজেলার বির্তকিত ইউপি ভোটের ফলাফল বাতিল চান পরাজিত প্রার্থীরা। এনিয়ে সিলেটে ও ঢাকায় আলাদা আলাদা সংবাদ সম্মেলন করেন পরাজিত প্রার্থীরা। এরপর বির্তকিত ভোটের ফলাফল বাতিল চেয়ে পৃথকভাবে কয়েকটা রীট হয় হাইকোর্টে।
Leave a Reply