সিলেটের জকিগঞ্জে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপন চুক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৫ ঘটিকায় জমিয়ত কার্যালয় থেকে গণমিছিল শুরু হয়ে জকিগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে স্থানীয় এম.এ.হক চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে মিলিত হয়।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা শায়খ জাওয়াদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ জকিগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি কাজী মানসুর-এর পরিচালনায় এতে জমিয়তের বিভিন্ন অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ সভাপতি মাওলানা ফারুক আহমদ, সিলেট জেলা শ্রমিক জমিয়তের আহবায়ক মাওলানা রুহুল আমীন, জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের অন্যতম নেতা মাওলানা জিয়াউর রহমান ফারুকী ও জমিয়ত নেতা মাওলানা মামুনুর রশীদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ পৌরসভা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা ফয়জুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহ সভাপতি হুমায়ূন কবির লস্কর কয়েছ, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুফতি মাহমুদ হোসাইন, সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাদ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সামছুদ্দীন মোঃ জাকারিয়া প্রমূখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, জাতিসংঘ যে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় সেটা প্রকৃত মানবাধিকার নয়। দেশে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন হলেও সেখানে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন কিছুই করতে পারেনি। ঢাকায় মানুষ মরে, জাতিসংঘ কি করে? ফিলিস্তিন শিশু মরে, জাতিসংঘ কি করে? এমন প্রশ্ন তুলেন বক্তারা। বক্তারা মনে করেন, বাংলাদেশে সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডার স্বীকৃতি এবং পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দিতেই ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই কার্যালয়টি দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের একটি ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই অবিলম্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ঢাকায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় স্থাপনের চুক্তি থেকে সরে আসতে হবে। অন্যতায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম রাজপথ ছাড়বেনা। কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
সমাবেশ শেষে জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা জাওয়াদুর রহমান সভাপতির বক্তব্য ও মোনাজাতের মাধ্যমে সমাবেশের কাজ সমাপ্ত করেন।
Leave a Reply