জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর হাড়িকান্দী এলাকায় আগুনে একটি তুলার গুদাম পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় আশপাশের বেশ কয়েকটি ভুষিমালের দোকানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে হাড়িকান্দী মাদ্রাসার গেইটের পাশে অবস্থিত ব্যবসায়ী সালেহ আহমদের তুলার গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস মিলে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ ঘটনায় প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে পথচারীরা সালেহ আহমদের তুলার গুদামে হঠাৎ আগুন জ্বলতে দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরাও এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভাতে সক্ষম হন। ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তুলাসহ পুরো গুদামঘর। তবে আগুনের সূত্রপাতের বিষয়টি কেউ সুনির্দিষ্টভাবে বলতে না পারলেও মালিক পক্ষ ও তুলার মালিক এটি পরিকল্পিত আগ্নিকান্ডের ঘটনা বলে জকিগঞ্জ এস,টিভিকে জানান।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকের ছেলে নজরুল ইসলাম আগুন কেউ পরিকল্পিতভাবে লাগিয়েছেন দাবী করে বলেন, আমরা প্রায় ১২/১৩ লক্ষ টাকা দিয়ে এই মার্কেট করেছি। আগুনে পুড়ে পুরো মার্কেট এখন অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত লেপ তোশক ব্যবসায়ী সালেহ আহমদ বলেন, আমার গুদাম ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলনা। সে কারণে নিঃসন্দেহে বলতে পারি এখানেই কেউ হিংসাত্মকভাবে আগুন লাগিয়েছে। আমি প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার তুলা আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি একজন গরীব ও অসহায় মানুষ। আমি ঢাকা থেকে বাকিতে তুলা এনে লেপ তোশক তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে ঋণ পরিশোধ করি। আমি এ ক্ষতি কোনভাবেই পুষিয়ে উঠা সম্ভব নয়।
এ প্রসঙ্গে ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য কফিলুজ্জামান কফিল বলেন, আমরা মাইকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে দ্রুত না আসলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
পার্শ্ববর্তী ৯নং মানিকপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য নাজিম উদ্দিন বলেন, আমাকে স্থানীয় একজন ফোন করে আগুন লাগার ঘটনা জানালে তাৎক্ষণিক ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই। পরে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই।
জকিগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মুহিত মিয়া বলেন, জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ খবর পেয়ে দ্রুত আমাদের ঘটনাস্থলে পাঠান। এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
জকিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা গোলাম আজম বলেন, আমরা আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে আসি। দু’টি গাড়িতে করে ৪ টি নলে আমরা পানি ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই।
Leave a Reply