জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর কামালপুর থেকে কানাইঘাট উপজেলার ৩নং দিঘীরপার ইউনিয়ন-এর শাহপুর পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সংযোগ সড়ক নির্মাণে পাল্টে গেছে এলাকার দৃশ্যপট। নতুন এ সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট দুই উপজেলার মানুষের জেলা ও উপজেলার সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা এখন অনেক সহজ হয়েছে। দুই উপজেলার এই সংযোগ সড়কটি জকিগঞ্জের কাজলসার ইউপি ও কানাইঘাটের দিঘীরপার ইউপি’র অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটাবে। কৃষকদের দীর্ঘদিনের দূর্ভাগের পরিসমাপ্তি ঘটবে। দুই উপজেলার ৮/১০টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলে সময় ও অর্থ বাঁচবে। এলাকাবাসী কখনও স্বপ্নেও ভাবেনি দূই উপজেলার এই সংযোগ সড়কটি তারা এতো দ্রুত দৃশ্যমান দেখবেন। জকিগঞ্জ ও কানাইঘাটের অনুন্নত পাড়া-গ্রামের মানুষ সড়কটি নির্মাণের ফলে বেশ আনন্দিত। বিশেষ করে ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের কামালপুর-জামুরাইল গ্রামের মানুষের আনন্দের শেষ নেই। কামালপুর-শাহপুর সংযোগ সড়কের মাধ্যমে জামুরাইল ও কামালপুর গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত বিকল্প একটি সড়ক হলো। এ অঞ্চলের মানুষ মনে করেন কামালপুর-শাহপুর সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, আমার ওয়ার্ডের দু’টি গ্রামের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল কামালপুর-শাহপুর সংযোগ সড়ক। আমিও সড়কটির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে নতুন একটি সড়ক নির্মাণে বারবার জকিগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানকে বলি। পরে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী নতুন এই সংযোগ সড়কটি নির্মাণের জন্য ৬ টন চাল বরাদ্ধ দিলে আমি তা বাস্তবায়ন করি। আমি কৃতজ্ঞ জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরীর প্রতি।
৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আম্বিয়া বলেন, আমি কামালপুর-শাহপুর সড়কটি দেখে এসেছি। সড়কটি দুই উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের খুবই গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সড়ক। এই সড়কটির প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান সাহেবকে একাধিকবার বলেছি। সেদিন দৃশ্যমান সড়কটি দেখে ভালো লাগলো। আমি ধন্যবাদ জানাই জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী ও আমাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ (ফুরুক মেম্বার) কে। ইনশাআল্লাহ খুবই অল্পদিনের মধ্যে এই সড়কটি আমি পাকাকরণের উপযোগী করার চেষ্টা করবো।
জকিগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ আতাউর রহমান বলেন, সরকার গ্রামীণ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে আন্তরিক। এ অঞ্চলের মানুষের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী আন্তরিক হলে খুব শীঘ্রই সড়কটি পাকাকরণ করা সম্ভব।
Leave a Reply