জকিগঞ্জে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী পালিত হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০২তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস।
“বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অঙ্গীকার, সকল শিশুর সমান অধিকার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন ১৭ মার্চ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচী পালন করে। দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স পর্যন্ত র্যালী, সকাল ১০ ঘটিকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০ টা ৩০ মিনিটে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২২ এর কেক কেটে ও দিবসের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার-এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মাসুম মিয়ার উপস্থাপনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজনীন সুলতানা।
প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী, উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার ডা. রাজিব চক্রবর্তী, উপজেলা সহকারী কমিশনার পল্লব হোম দাস, জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-এর কমান্ডার হাজী খলিল উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম হায়দার, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ-এর ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম.এ.জি. বাবর, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোঃ আব্দুল আহাদ ও উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বাবর হোসাইন চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার শুভ উদ্বোধন করেন অতিথিবৃন্দ।
বিকাল ৪ ঘটিকায় উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে গান ও নিত্য পরিবেশ করেন স্থানীয় সংগীত শিল্পী ও নিত্য শিল্পীরা।
এছাড়া ইতিহাসের এই মহানায়কের জন্মদিন উপলক্ষে আলোকসজ্জা করা হয়েছে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভবনসহ জকিগঞ্জ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উৎসবমূখর পরিবেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা, কুইজ, বিতর্ক, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদি আয়োজন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মিষ্টান্ন বিতরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply