জকিগঞ্জ উপজেলার একটি বালিকা মাদ্রাসার টিনসেড ঘর আকস্মিক বয়ে যাওয়া বাতাসে উড়িয়ে গেছে। এতে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান কর্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবার (২৫ জুলাই) বিকাল ৪টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের ইসলামাবাদ (রাড়িগ্রাম) গ্রামে অবস্থিত রশিদিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মাদ্রাসার টিনসেড ঘরের সম্পূর্ণ টিন মাঠিতে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ায় প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আনুমানিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তিন লক্ষাধিক টাকার।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস চৌধুরী তাজুল জানান, মাদ্রাসাটিতে পূর্বে প্রায় ১০০ ফুট দীর্ঘ একটি সেমিপাকা ঘর ছিল। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় একটি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নির্দেশনায় পুরাতন ভবনটি ভেঙে ফেলা হয়। নির্মাণ কাজ শুরু না হওয়ায় ক্লাস চালিয়ে নিতে দ্রুত একটি অস্থায়ী টিনসেড ঘর তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু শুক্রবারে ঝড়ো হাওয়ায় সেটিও সম্পূর্ণভাবে মাটিতে পড়ে হয়ে যায়।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন,“আকস্মিক ঝড়ো হাওয়ায় আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শেষ আশ্রয়টুকুও হারালাম। এখন শিক্ষার্থীরা কোথায় বসে ক্লাস করবে? সরকারি সহায়তা ও স্থানীয়দের সহমর্মিতা ছাড়া এ সংকট থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই।”
এ বিষয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু বলেন, “ঘটনার পরপরই আমি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করেছি। যেভাবেই হোক, মাদ্রাসাটিকে রক্ষা করতেই হবে। প্রয়োজনে স্থানীয়ভাবে বেসরকারি উদ্যোগেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
জানা যায়, বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে তিনশতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়নত রয়েছে। মাদরাসার ঘরটি ভেঙে যাওয়ায় তাদের পাঠকার্যক্রম এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। এলাকাবাসী দ্রুত রিটেন্ডার করে সরকারিভাবে বন্যা আশ্রয় কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখার পরিবেশ তৈরীর জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
Leave a Reply