প্রভাব যার, জলমহাল তার। যুগযুগ ধরে এইপ্রভাব খাটিয়ে ‘মইলাইট বিল’ জলমহালটি লুটেপুটে খাচ্ছিল একটি মহল। সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ৯০ একরের বৃহৎ এ মইলাইট বিলটি প্রথম বারের মত ২০২১ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসক নিজে উদ্যোগ নিয়ে মামলা মকদ্দমার জটিলতা নিরসন করে লিজ প্রদান করেন। তৎকালীন ইজারাদার সুর্যমূখী সমবায় সমিতির রঞ্জিত বিশ্বাস নানা প্রতিকুলতার সহ্য করে প্রশাসনের সহায়তায় মৎস্য আহরণ করেন।
এ বছর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইসলামপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ছয় বছরের জন্য বছরে ১৫ লক্ষ ৭ হাজার ৫০০ টাকায় লিজ গ্রহণ করে। ইজারাদের মাছ চাষ ও আহরণে বাঁধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিলের ইজারাদার ইসলামপুর মৎসজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল কালাম। এ ব্যাপারে তিনি বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, একটি প্রভাবশালী পক্ষ বিলটিতে তাদের জমি রয়েছে দাবী করে মাছ আহরণে বাঁধা দিয়ে আসছে এবং নানাভাবে হুমকি ধামকিও প্রদর্শণ ও টাকাদাবী করে আসছে।
তিনি আরোও বলেন, ইজারা গ্রহণের পর হইতে একটি পক্ষ জলমহালে নিজেদের জায়গা দাবী করে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। পরবর্তীতে সুপ্রীম কোর্ট উক্ত আদেশের কার্যকরিতা স্থগিত করেন। এর পরও এই প্রভাবশালীমহল নানাভাবে মৎস আহরণে বাঁধা দিয়ে আসছে।
অপরদিকে, জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়নের শতাধিক লোক উক্ত মইলাট বিলে তাদের জমি রয়েছে বলে দাবী করেন। তারা সরকারি ভূমি চিহ্নিত না করে লিজ প্রদান করা অবৈধ বলেও দাবী করেন। এছাড়া বিল সেচে মাছ ধরতে গিয়ে তাদের কৃষি কাজে ব্যঘাত ঘটছে এবং লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি হচ্ছে বলে তারা দাবী করছেন।
এ ব্যাপারে ১নং বারহাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী বলেন, মইলাইট বিলে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি রয়েছে। এগুলো চিহ্নিত করে মইলাইট বিলের জায়গা পৃথক করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে জকিগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসনিম মিতু বলেন, মইলাইট বিল জলমহালে কোন ব্যক্তিমালিকানা জায়গা নেই। এখানে কোন অনিয়ম সহ্য করা হবে না।
Leave a Reply