জকিগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত মুক্তির উৎসব ও সূবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে সিলেটের মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতিতে মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বিকেলে জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এ সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমী আক্তার-এর সভাপতিত্বে ও সাংস্কৃতিককর্মী অংশুমান দত্ত অঞ্জন-এর উপস্থাপনায় আলোচনা সভায় একাত্তরের রণাঙ্গনের বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ স্মৃতি চারণ করে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুল আহাদ। তিনি তাঁর বক্তব্যে মুক্তিযোদ্ধাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে দাবী আদায়ের আহবান জানিয়ে বলেন, সকল ভয়ভীতি পরিহার করে জকিগঞ্জের রাজাকারদের তালিকা প্রকাশ করুন। দাবী আদায়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট প্রস্তাব দিন। আওয়ামী লীগ সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি আন্তরিক। তিনি অনেক অসহায় ও দারিদ্র মুক্তিযোদ্ধার কথা উল্লেখ করে বলেন, যাদের ত্যাগে এদেশের সৃষ্টি হয়েছে তাদের দুঃখ কষ্ট আমরা দেখতে চাইনা। অনতিবিলম্বে এ সকল মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরণ চাই।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা রওশন শ্যামলী, জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার ও জকিগঞ্জ উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আব্দুল আহাদ প্রমূখ।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধের সময়কার স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী, জকিগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী খলিল উদ্দিন, জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম হয়দার, শিক্ষক ও সুবক্তা বীরমুক্তিযোদ্ধা সুখময় সূত্রধর ও বীরমুক্তিযোদ্ধা পান্না লাল রায়।
আলোচনা সভা শেষে জকিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপ্লব হোম দাস, সাংস্কৃতিক কর্মী অংশুমান দত্ত অঞ্জন ও রীনা গোমেজ মনোমুগ্ধকর গান গেয়ে সবাইকে মাতিয়ে তোলেন।
Leave a Reply