সারাদেশব্যাপী এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ হারে বাড়িভাতা, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা বাস্তবায়নের দাবিতে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলায় শিক্ষকরা ক্লাস বর্জন ও কর্মবিরতি পালন করছেন। রোববার (১২ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষকরা লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু হলেও দুপুরে পুলিশের অনুরোধে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলে যান। শিক্ষক-কর্মচারীদের একটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করলে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুঁড়ে, জলকামানের পানি ছিটিয়ে এবং লাঠিপেটা করে তাদের সরিয়ে দেয়। এতে চরম ক্ষোব্ধ হয়ে উঠেন সারাদেশের শিক্ষক সমাজ। শিক্ষকদের ওপর ‘পুলিশের হামলার’ প্রতিবাদে সোমবার (১৩ অক্টোবর) থেকে সব বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার কর্মবিরতি ঘোষণা করে আন্দোলনে নামেন শিক্ষকরা। তার-ই ধারাবাহিকতায় সারা দেশের ন্যায় বিগত এক সাপ্তাহ থেকে জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারীরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বর্জন করে এই কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। কর্মসূচিতে গঙ্গাজল হাসানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা ন্যায্য ভাতা ও সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর আগেও শিক্ষকদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার বিভিন্ন সময় দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করেনি। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির উদ্যােগে উপজেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হয়। কর্মবিরতিতে জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা দ্রুত ২০% বাড়িভাতা, ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা এবং কর্মচারীদের ৭৫% উৎসব ভাতা অনুমোদনের দাবি জানান।
এছাড়া রোববার থেকে রাজধানীতে শান্তিপূর্ণ শিক্ষক সমাবেশে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, শিক্ষক সমাজের ওপর হামলা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর আঘাতের শামিল বলে মন্তব্য করেন।
কর্মবিরতিতে জকিগঞ্জ উপজেলার সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মচারীরা অংশ নেন। তাঁরা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply