জকিগঞ্জে শিব্বির আহমদ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের উদ্যোগে হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে জোহর পর্যন্ত জকিগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাজল আলিফ কমিউনিটি সেন্টারে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় সুলতানপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাদ্রাসার হিফজ বিভাগের শিক্ষার্থীসহ দেশের বিভিন্ন মাদ্রাসায় হিফজ বিভাগে একই ইউনিয়নের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্বে ছিলেন সিলেট নগরীর শাহী ঈদগাহ শাহ মিরর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা আব্দুল হান্নান, জকিগঞ্জ বিলেরবন্দ হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ নজরুল ইসলাম ও হাফিজ মাওলানা হাবিবুর রহমান।
ওইদিন জোহরের নামাজ শেষে বর্ণাঢ্য আয়োজনে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সমাজসেবী ও শিক্ষানুরাগী আহমদ মনসুর আলমের সভাপতিত্বে এবং শিক্ষক ও সাংবাদিক তারেক আহমদের উপস্থাপনায় শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আনহারুল আলম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মুফতি আবুল হাসান।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি মোঃ কুতুব উদ্দিন, গঙ্গাজল হাসানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, খাদিমান জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মস্তফা আহমদ, নাজমুদ্দিন মাহমুদ, আবু সুফিয়ান, আব্দুস সামাদ, কবির আহমদ ও ইমরান আহমদ।
অনুষ্ঠানে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে জামিয়া ইসলামিয়া ফয়জে আম মুনশীবাজার-এর শিক্ষার্থী মাহমুদুর রহমান মারজান, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে হযরত শাহাবুদ্দিন হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোঃ শাহিদুর রহমান, তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে জামিয়া আব্দুল গফফার মামরখানি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ইয়াহিয়া আহমদ, চতুর্থ পুরস্কার পেয়েছে হযরত শাহাবুদ্দিন হাফিজিয়া কওমিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মোঃ রাকিব রাজা, পঞ্চম পুরস্কার পেয়েছে থানাবাজার হাবিবিয়া হিফজুল কোরআন মাদ্রাসার শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মেহেদী। অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীকে সনদ ও বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাওলানা মুফতি আবুল হাসান বলেন, এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের কোরআন নিয়ে উৎসাহিত করবে এবং তাদের নৈতিক মূল্যবোধ গড়ে তুলবে। বক্তারা শিবির আহমদ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা শিবির আহমদ ও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “তাদের মহানুভবতা ও উদ্যোগের ফলে আজকের এই প্রতিযোগিতা সফল হয়েছে। তারা তরুণ প্রজন্মকে ইসলামী শিক্ষায় এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন, যা সমাজের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। তাদের ত্যাগ ও দান আগামী প্রজন্মের জন্য এক অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
Leave a Reply