জকিগঞ্জ থানা পুলিশের তৎপরতায় হারিয়ে যাওয়া এক স্কুল ছাত্রকে ফিরে পেয়েছেন তার বাবা-মা।
সোমবার (১লা আগস্ট) দুপুরে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কানাইঘাট উপজেলার বড়চাতল এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা যায়, গত ১লা জুলাই রাত ৯ ঘটিকার দিকে প্রস্রাব করার কথা বলে ঘর থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় জকিগঞ্জ উপজেলার ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়নের বলরামের চক গ্রামের মোঃ নুরুল হকের ছেলে এম এ শাহেদ (১২)। এ ঘটনায় নিখোঁজ এম এ শাহেদের পিতা মোঃ নুরুল হক জকিগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডি নং- ১৬৪, তারিখ -০৫/০৭/২০২২ খ্রিস্টাব্দ।
জিডির তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, নিখোঁজের পিতা থানায় সাধারণ ডায়রী করলে আমাকে জিডি তদন্তের দায়িত্ব অর্পণ করে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশাররফ হোসেন নিখোঁজ ভিকটিমকে উদ্ধার করার জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি উক্ত সাধারণ ডায়েরির বিষয়ে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখতেন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করতেন। ওসি স্যারের দিকনির্দেশনায় আমি নিখোঁজ ভিকটিম কে উদ্ধার করার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম গ্রহণ করি।
গতকাল ১লা আগস্ট সকাল ১১টা ২৫ মিনিটের সময় সংবাদ পাই যে, উক্ত নিখোঁজ ভিকটিম এম এ শাহেদকে আটগ্রাম হয়ে কানাইঘাট থানাধীন বড়চাতল এলাকায় যেতে দেখা গেছে। আমি সংবাদটি অফিসার ইনচার্জ জকিগঞ্জ থানা স্যারকে জানালে তিনি সাথে সাথেই আমাকে ভিকটিম উদ্ধার করার জন্য রওনা দিতে বলেন এবং অফিসার ইনচার্জ কানাইঘাট থানা স্যারকে ফোন করে আমাকে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট করার জন্য বলে দেন। আমি স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক সঙ্গীয় ফোর্সসহ কানাইঘাট থানাধীন বড়চাতল এলাকায় যাই। সেখান থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জকিগঞ্জ সার্কেল মোঃ জাকির হোসেন স্যারের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এবং অফিসার ইনচার্জ জকিগঞ্জ থানা স্যারের সার্বিক তত্ত্বাবধান ও সহায়তায় আমি এসআই রিপন চন্দ্র দাস সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় ভিকটিম এম এ শাহেদকে তার গ্রামের এক দুঃসম্পর্কের ফুফুর বাসা থেকে উদ্ধার করি। পরবর্তীতে ভিকটিম এম এ শাহেদ কে তার পিতার জিম্মায় প্রদান করা হয়।
উদ্ধারকৃত এম এ শাহেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, সে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে রাগ করে বাড়ি থেকে চলে যায়। সে কিছুদিন এক চা-স্টলেও কাজ করেছে সর্বশেষ কয়েকদিন আগে তার এই দুঃসম্পর্কের ফুফুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
এদিকে ভিকটিম এম এ শাহেদের বাবা-মা এবং আত্মীয়-স্বজন থানা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
Leave a Reply