সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্তের বিয়াবাইল ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ রসুলপুর এলাকায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সবজি ক্ষেত নষ্ট করে দেয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা ২০ মিনিটে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও বিএসএফ-এর প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী পতাকা বৈঠকে বিজিবি’র তীব্র প্রতিবাদে বিএসএফ দুঃখ প্রকাশ করে ক্ষতি পূরণের আশ্বাস ও ভবিষ্যতের জন্য বিএসএফ সদস্যদের সতর্ক করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করে।
এ সময় বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৯ বিজিবি জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ জুবায়ের আনোয়ার ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট।
বিজিবি সূত্রে জানা যায়, পতাকা বৈঠকে ১৯ বিজিবি’র অধিনায়ক বিএসএফ টহল দল কর্তৃক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে প্রবেশ করে কৃষকের ফসলের বেড়া এবং ফসল নষ্ট করার বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানান। প্রতিউত্তরে বিএসএফ কমান্ড্যান্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ ও কৃষকের ফসল নষ্ট করার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে ক্ষতিপূরণের বিষয় জানানো হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন। ভবিষ্যতে অবৈধভাবে প্রবেশের বিষয়ে বিএসএফ সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করা হবে এবং বিএসএফ টহল দলের বিরুদ্ধে আইন-আনুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ১৯ বিজিবি জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোঃ জুবায়ের আনোয়ার জানান, সীমান্তে চোরাচালান ও অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে বিজিবি-এর গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, রোববার (২ নভেম্বর) সকালে সিলেট সেক্টরের জকিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (১৯ বিজিবি)-এর অধীনস্থ বিয়াবাইল বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার জকিগঞ্জ রসুলপুর নামক স্থানে ভারতের ১৭০ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের পিন্নানগর ক্যাম্পের একটি
টহল দল অবৈধভাবে সীমান্ত পিলার ১৩৪৫ হতে আনুমানিক ১০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সুরমা নদী পার হয়ে অনুপ্রবেশ করে। এ সময় বিএসএফ টহল দল স্থানীয় ফসলের বেড়া এবং ফসল বিনষ্ট করে। পরে স্থানীয় জনগণের বাঁধার মুখে বিএসএফ টহল দল দ্রুত ভারতের অভ্যন্তরে চলে যায়। এ ঘটনায় দুই দেশের বিজিবি-বিএসএফ উচ্চ পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে।
Leave a Reply