জকিগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে আটটি কলেজের মধ্যে গড় পাসের হার দাঁড়িয়েছে মাত্র ৩৯.৪৩%। এর মধ্যে সর্বোচ্চ সাফল্য অর্জন করেছে বারহাল ডিগ্রি কলেজ, যেখানে পাসের হার ৭৮ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমি। যেখানে পাসের হার মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজে পাসের হার ৬৭ দশমিক ৮৩ শতাংশ, এবং এই কলেজের ৫ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ অর্জন করেছে। মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানই উপজেলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ফলাফল করেছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে লুৎফর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পাসের হার ৪৪ দশমিক ৫৯ শতাংশ। চতুর্থ স্থানে ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, যেখানে পাসের হার ৪২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া, জকিগঞ্জ সরকারি কলেজে পাসের হার ৩৮ শতাংশ, গুরুসদয় স্কুল অ্যান্ড কলেজে ২৪ দশমিক ৬২ শতাংশ, গনিপুর কামালগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজে ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ, এবং সবচেয়ে নিচে রয়েছে গোলাম মোস্তফা চৌধুরী একাডেমি, যেখানে পাসের হার মাত্র ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ।
ফলাফলের এই পরিস্থিতি নিয়ে স্থানীয় মহলে চলছে আলোচনা সমালোচনা। শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছু প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট, অনিয়মিত ক্লাস এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ের অভাবই নিম্ন ফলাফলের প্রধান কারণ।
হাফছা মজুমদার মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খালেদ আজাদ বলেন, শিক্ষকদের আন্তরিকতা, শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পড়াশোনা, অভিভাবক গভর্নিং বডির সহযোগিতার কারণে আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো ফল করে আসছি। আগামী বছর আরও উন্নত ফলাফলের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।
এদিকে ফলাফলে পিছিয়ে পড়া কলেজগুলো নিয়ে অভিভাবক ও সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। তারা মনে করছেন, উপজেলার সার্বিক শিক্ষার মান উন্নয়নে এখনই পরিকল্পিত উদ্যোগ, শিক্ষক সংকট নিরসন এবং ক্লাস কার্যক্রমে কঠোর নজরদারি জরুরি।
স্থানীয় শিক্ষাবিদদের মতে, গড় পাসের হার মাত্র ৩৯.৪৩ শতাংশ হওয়া জকিগঞ্জের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য একটি সতর্কবার্তা। তারা বলছেন, সময়মতো উদ্যোগ না নিলে আগামী বছর ফলাফল আরও নিম্নমুখী হতে পারে, যা এলাকার সামগ্রিক শিক্ষার মানের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
Leave a Reply