বাংলাদেশের অন্য কোথাও এমন বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন হয় কিনা এটা আমার জানা নেই। সিলেটের জকিগঞ্জ-কানাইঘাটে এমন বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন কেউ করতে কখনো আমি দেখিনি। তবে বিগত কয়েক বছর থেকে জকিগঞ্জ-কানাইঘাটে এমন ব্যাতিক্রমধর্মী একটি বৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হয়, যেখানে অংশ গ্রহণকারী সবাই পুরস্কৃত হয়ে থাকেন। তাও আবারও ছোট খাটো কোন পুরস্কার না, পরীক্ষায় অংশ নিলেই শিক্ষার্থীরা পেয়ে যান একটি স্টাইলিশ ও টেকসই স্কুল ব্যাগ, শুধু পুরস্কার নয়, যেন তাদের প্রতিদিনের শিক্ষাযাত্রায় হয়ে ওঠে এক নির্ভরযোগ্য সাথি। এছাড়াও বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের জন্য রাখা হয় বিশেষ শুকনো খাবার প্যাকেট। যা স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু শুকনো খাবারের প্যাকেট, যেন সকলে দিনটি কাটাতে পারেন উচ্ছ্বাস ও প্রশান্তিতে। ব্যতিক্রমধর্মী এমন একটি বৃত্তি পরীক্ষার প্রতি বছর আয়োজন করে আসছে অল্পদিনে পুরো সিলেট জুড়ে সাড়া জাগানো একটি সামাজিক, মানবিক ও শিক্ষা উন্নয়নমূলক সংগঠন “ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট”।
সম্প্রতি এই ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনায় ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের প্রায় ১৫টি স্পটে বিনামুল্যে চক্ষুসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে বেশ প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। প্রায় দেড় মাসব্যাপী এই চিকিৎসা কার্যক্রম শেষ করেই এখন ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট প্রতিভা সন্ধানে দীপ্ত অভিযাত্রা শুরু করেছে। “প্রতিভা কখনও হারিয়ে যায় না, যদি কেউ থাকে তা খুঁজে তোলার জন্য।” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট সেই প্রতিভার খোঁজে নিরন্তর কাজ করে চলেছে, তোমার মধ্যে থাকা স্বপ্ন, সাহস আর সম্ভাবনার দিকে হাত বাড়িয়ে। ২০২৫ সালের মেধাবৃত্তি পরীক্ষাকে সামনে রেখে এ এক নতুন যাত্রা শুরু করেছে ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট। যেখান থেকে শুরু হবে শিক্ষার্থীদের জীবনে এক আলোকিত অধ্যায়। আর সেই যাত্রায় প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য ট্রাস্ট রেখেছে একের পর এক আনন্দঘন চমক! মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা সবাই প্রথম দিনেই স্টাইলিশ ও টেকসই স্কুল ব্যাগ এবং স্বাস্থ্যসম্মত ও সুস্বাদু শুকনো খাবারের প্যাকেট পেয়ে যাবেন। শুধু অংশ নিলেই এত মূল্যবান পুরস্কার প্রদান জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের শিক্ষার্থীদের জন্য বিরল একটি ঘটনা। কেননা অনেক সংগঠন বা ট্রাস্টের বৃত্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও এত মুল্যবান পুরস্কার তারা পান না। অথচ ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নিলেই পেয়ে যাচ্ছেন অনেক মূল্যবান পুরস্কার। আর বৃত্তিপ্রাপ্তরা তো মেধা অনুযায়ী একাধিকবার পেয়ে যাবেন পুরস্কার।
ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের নিয়মিত মেধাবৃত্তি পুরস্কার ছাড়াও বিশেষ যে সকল আয়োজন থাকবে তা হচ্ছে-
কম্পিউটার ট্যাব পুরস্কার: তৃতীয় শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শ্রেণির সর্বোচ্চ ৩ জন, মোট ২৪ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে একটি করে অত্যাধুনিক ট্যাবলেট, তাদের ডিজিটাল শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক মানে প্রস্তুতির জন্য এক বিশাল হাতিয়ার।
শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সম্মাননা: জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার ২০টি শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা ও পুরস্কার, শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ।
এছাড়াও ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ফাহিম আল্ চৌধুরী’র পক্ষ থেকে থাকছে আরও কিছু এক্সক্লুসিভ ও অভাবনীয় পুরস্কার, যা জানিয়ে দেবে, “তোমার পরিশ্রম কখনোই বৃথা যাবে না।”
ট্রাস্ট সূত্রে জানা যায়, বৃত্তিপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থী তাদের প্রাপ্য স্টাইপেন্ড ও পুরস্কার অবশ্যই পূর্ণ মর্যাদায় লাভ করবে, যেমনটি ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্ট বরাবর করে এসেছে।
ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করেন, প্রাপ্য কখনো অনিশ্চিত হয় না, যদি সেখানে থাকে আন্তরিকতা ও দায়বদ্ধতা। ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের স্বপ্ন বিশ্বমানের শিক্ষার পথে, এই ট্রাস্ট চায়, এই অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা শুধু বইয়ের মাঝে না, হৃদয়ের ভেতরেও জাগিয়ে তুলুক সেই শক্তি, যে শক্তি একদিন তাকে পৌঁছে দেবে বিশ্বমঞ্চে।
শিক্ষার্থীদের সাফল্যই ট্রাস্টের ভবিষ্যতের স্বপ্ন।
ট্রাস্টের পক্ষ থেকে বলা হয়, “শিক্ষার্থীরা কারো থেকে কম নও, শুধু সাহস নিয়ে সামনে এগিয়ে চলতে হবে। আকাশটা শিক্ষার্থীদের জন্য, বাঁধা নয়, ডাক। সীমানা নয়, সম্ভাবনা।”
ফাহিম আল্ চৌধুরী ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান সমাজসেবী, শিক্ষানুরাগী ও মানবিক ব্যক্তিত্ব ফাহিম আল্ চৌধুরী সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকগণ ও প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অগ্রিম অভিনন্দন জানিয়ে বলেন-আসুন, হাতে হাত রেখে গড়ে তুলি একটি শিক্ষিত, আলোকিত এবং আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন আগামী প্রজন্ম।
Leave a Reply