ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে সে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটকের পর একবছরের অধিক সময় কারাভোগ শেষে বাংলাদেশের সিলেট জেলার জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট উপজেলার পাঁচ যুবক দেশে ফিরেছেন। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতীয় বিএসএফ ও বাংলাদেশের বিজিবি’র উপস্থিতিতে ওই পাঁচ জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের বাসিন্দাকে ফেরত পাঠায় ভারত। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মো. বজলুর রশিদ।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে ফেরা পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিক ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার একটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় পুলিশ আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করেন। কারাভোগের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ভারতীয় ইমিগ্রেশন বিজিবি-বিএসএফ’র উপস্থিতিতে তাদেরকে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের নিকট হস্তান্তর করে। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের ওয়েস্ট গারো হিলস জেলার তুরা কারাগারে পাঁচজন বাংলাদেশী নাগরিকের কারাভোগ শেষে তামাবিল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যথাযথ আইনী প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়। দীর্ঘদিন জেল খেটে তাঁরা বুধবার তামাবিল দিয়ে দেশে ফেরত আসেন।
তাঁরা হলেন, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার বাঘপাড়া গ্রামের আকদ্দস আলীর ছেলে মো. শামীম আহমেদ (৩৫), একই এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (২৫), আব্দুল হান্নানের ছেলে ইমরান হোসেন (২৭), কানাইঘাট উপজেলার পূর্বগ্রামের শফিক আহমেদের ছেলে ইকবাল আহমেদ (১৯) ও মানিকপুর গ্রামের ফারুক আহমেদের ছেলে আবুল হোসেন (২৫)।
তামাবিল ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক মো. বজলুর রশিদ জানান, দুই দেশের ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং বিএসএফ ও বিজিবির মাধ্যমে পাঁচজন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানোর পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদেরকে আত্মীয়-স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply