সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে পরিবহন শ্রমিকদের দ্বারা যাত্রী হয়রানীর শেষ নেই। এই সড়কে বাস চালক ও হেলপার কর্তৃক একেরপর এক যাত্রী হয়রানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। গত শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকাল ৩ টা ৩০ মিনিটের দিকে দক্ষিণ সুরমা থানার অন্তর্গত হুমায়ুন রশীদ চত্বরে পাঁশে কুইন্স টাওয়ারের সামনে জকিগঞ্জ সড়কে এমন-ই একটি যাত্রী হয়রানীর ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হয়রানী ও ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার জকিগঞ্জ উপজেলার ২নং বীরশ্রী ইউনিয়ন-এর গদাধর গ্রামের মুস্তফা আহমদ-এর ছেলে মাজেদ আল মুস্তফা (১৮) সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, তিনি তার মা’কে নিয়ে বাড়িতে যাওয়ার জন্য বিকাল ৩ ঘটিকায় কুইন্স বান্দেরমূখ থেকে জকিগঞ্জগামী সিলেট মেট্রো-থ-১১-০৩৭১ গাড়িতে উঠলে বিকাল সাড়ে ৩ টা পর্যন্ত গাড়িটি ছাড়েনি। এ কারণে তার ‘মা’ চালক ও হেলপারকে দীর্ঘ সময় থামার কারণ জানতে চেয়ে প্রতিবাদ করলে পরিবহণ শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে গাড়ির চালক ও হেলপার মিলে অভিযোগকারী মাজেদ আল মুস্তফা ও তার মাকে মারপিট করেন।
এ ঘটনায় তারা ওইদিন রাতেই সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তৎপর হয়ে উঠে। অভিযোগ তদন্তের দায়িত্ব পান দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সুহেল রানা। তিনি দুইদিনের মাথায় বিষয়টি নিষ্পত্তি না করলে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুশিয়ারি দিলে পরিবহন শ্রমিক নেতারা নড়েচড়ে উঠেন।
অবশেষে মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান তালুকদার ও দক্ষিণ সুরমা (কদমতলী) ফাঁড়ি’র ইনচার্জ সোহেল রানার সহযোগীতায় উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে সম্মানজন নিষ্পত্তি হয়।
এ সময় পরিবহণ শ্রমিক নেতারা আগামীতে কারো সাথে এ ধরণের ঘটনা না ঘটার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন।
এ বিষয়ে অভিযোগ দায়েরকারী মাজেদ আল মুস্তফা জানান, দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুল হাসান স্যার ও দক্ষিণ সুরমা ফাঁড়ি’র ইনচার্জ সোহেল রানা স্যার আমি অভিযোগ দেয়ার পর যে আন্তরিকতা দেখিয়েছেন তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। পুলিশের আচরণ যে এতো ভালো হয় তা আমার কল্পনায় ছিলনা। আমি দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাই।
Leave a Reply