জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম সুরমা নদীতে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা। বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) বিকেল ৪টায় শুরু হয়ে নৌকাবাইচ শেষ হয় সন্ধ্যায়। সুরমা নদীর বুকে পড়ন্ত বিকেলে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা উপভোগ করেন শতশত দর্শক। দৃষ্টিনন্দন এই নৌকা বাইচ দেখে দারুণ খুশি দর্শকরা। ভবিষ্যতে এ আয়োজন অব্যাহত রাখার কথা জানান আয়োজকরা।
জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম এলাকা ও মরিচা গ্রামের যুব সমাজ এবার প্রথম বারের মতো এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল। তবে প্রতি বছর আটগ্রাম বাজার সংলগ্ন সুরমা নদীতে বিশাল নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এবার সেই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা না হওয়ায় এলাকার যুব সমাজ ছোট করে এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। নৌকা বাইচ উপভোগ করতে সুরমা নদীর দুই পাড়ে উৎসুক হাজার হাজার দর্শক জড়ো হয়। আবার অনেকেই ছোট বড় নৌকা নিয়ে এ প্রতিযোগিতা দেখতে আসে।
এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় ১৩টি দল অংশ গ্রহণ করেছে। নৌকা বাইচের দূরত্ব ছিল প্রায় এক কিলোমিটার। নৌকাবাইচ চলাকালে আনন্দ-উল্লাসে মুখরিত ছিল চারপাশ। বাদ্যের তালে তালে ও নানা রঙের পোশাক পরে গ্রামবাংলার নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা ছিল উৎসব মুখর। নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করেন সাবেক ইউপি সদস্য সালেহ আহমদ কবীর ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ডা. শাহ ইকবাল আহমদ।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব-এর যুগ্ম সম্পাদক রহমত আলী হেলালী।
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কাজলসার ইউপি সদস্য চুনু মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য উস্তার হোসেন চৌধুরী, শ্রী রাতুল বিশ্বাস, শ্রী সুজিত বিশ্বাস, সমাজসেবী জামাল উদ্দিন ও মোস্তফা উদ্দিন প্রমূখ।
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করে জামালপুর ধর্মলালের নৌকা, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে জামালপুর নিকুঞ্জের নৌকা আর তৃতীয় স্থান অর্জন করে সোনাপুর গ্রামের নৌকা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের মধ্যে খাসি, ২৪ ইঞ্চি ট্রফি ও ১৬ ইঞ্চি ট্রফি তুলে দেন অতিথিবৃন্দ। দর্শনার্থীদের দাবি, এমন আয়োজন যেন প্রতিবছর করা হয়। আয়োজক কমিটি জানায়, পরিবেশ-পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে প্রতিবছর এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে।
Leave a Reply