‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী’। কথাটা অনেক পুরোনো। আর এমন একটি ঘটনা ঘটে গেছে জকিগঞ্জে। জকিগঞ্জের একটি জানাজা থেকে একাধিক মোবাইল চুরি’র খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০ ঘটিকার সময় জকিগঞ্জ পৌর এলাকার খলাছড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে ঘটেছে।
জানা যায়, গত রোববার বিকেল পৌনে ২ টার দিকে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ইলাশপুর রেলক্রসিংয়ে ট্রেনে কাঁটা পড়ে মর্মান্তিকভাবে নিহত হন জকিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও জকিগঞ্জ পৌর এলাকার খলাছড়া গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার মোঃ আব্দুস শহীদ। উপজেলার অত্যন্ত পরিচিত ও জনপ্রিয় এই ব্যক্তির জানাজা ছিল সোমবার সকাল ১০ ঘটিকায় খলাছড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে। অত্যন্ত মর্মান্তিক ও হৃদয়স্পর্শী মৃত্যুর খবরে জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন হাজারো মানুষ। অত্যন্ত ভাবগাম্বীর্য্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত এ জানাজায় উপস্থিত হয়েছিলেন রাজনীতিবীদ, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি। আর এই সুযোগে চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী তা প্রমাণ করেছে একটি চোরচক্র। ওই চোরচক্র জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আফতাব উদ্দিন ও ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আম্বিয়া সহ আরও একাধিক ব্যক্তির মোবাইল ফোনটি অত্যন্ত সুকৌশলে চুরি করে নিয়ে যায়। বিষয়টি এখন পুরো উপজেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
এলাকার সচেতন মানুষের মতে, ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী’ কথাটা অনেক পুরোনো হলেও নতুন করে প্রমাণ করলো এই চোরচক্র। সকল ধর্মের মানুষের শেষ বিদায়ের সময়টা ধর্মীয় ভাবগাম্বির্য্যের মধ্যদিয়েই হয়ে থাকে। আর এই সময়েও ওই চোরচক্র মোবাইলগুলো চুরি করে নিয়ে যেতে নুন্যতম বুকটা কাঁপেনি। সে কারণে সেই পূরনো দিনের প্রবাদ ‘চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী’ তা পূনরায় প্রমানিত হলো।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আফতাব উদ্দিন ও ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আম্বিয়া জানান, এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি জিডি করা হয়েছে। তাদের উভয়ের মতে, এ জানাজা থেকে আরও একাধিক ব্যক্তির মোবাইল চুরি হয়েছে। মানুষের ধর্মীয় অনুভুতি ও আবেগের সময়টাকে পুজি করে ওই চোরচক্র তাদের ঘৃণ্যকাজ সম্পন্ন করেছে। এই দুই জনপ্রতিনিধি স্থানীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, মোবাইল উদ্ধার করতে পুলিশ প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করছে। আমরা আশাবাদী দেরীতে হলেও আমরা মোবাইলগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।
Leave a Reply