যে সময়ে মানুষ সম্মান টাকা দিয়ে কিনে নিতে মরিয়া, ঠিক সেই সময়ে বিনয়ের সাথে সম্মাননা গ্রহণ থেকে বিরত থাকলেন সিলেটের কৃতি সন্তান যুক্তরাজ্য প্রবাসী শিল্পপতি ফাহিম আল ইসহাক চৌধুরী।
তিনি তৃতীয়বারের মতো বিদেশী মুদ্রা প্রেরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখার স্বীকৃতি স্বরূপ “কমার্শিয়ালি ইম্পর্ট্যান্ট পার্সন (সিআইপি) সম্মানে মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু মানব কল্যাণে নিবেদিতপ্রাণ ফাহিম আল ইসহাক চৌধুরী সেই সম্মাননা গ্রহণ থেকে বিরত থাকছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফাহিম আল ইসহাক চৌধুরী নিজের ভেরিফাই ফেসবুক আইডিতে লিখেন, “আমি কখনোই এ ধরনের স্বীকৃতির প্রয়োজন অনুভব করি না, কারণ আমি বিশ্বাস করি, দায়িত্ব পালনই আমার জন্য যথেষ্ট সম্মান। জীবনে বহু সুযোগ, সুবিধা ও সম্মাননাগুলো গ্রহণের পথ আমার সামনে খুলেছিল, কিন্তু অন্তর থেকে কখনোই এদের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করিনি। আমার কাছে সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো, একজন দায়িত্বশীল নাগরিক হয়ে নীরবে নিজের কর্তব্য পালন করা।
তিনি বলেন, সব কৃতজ্ঞতা আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি আমাকে এ নিয়ত ও সামর্থ্য দান করেছেন। আমি আমার মহান রবের অশেষ নেয়ামত ও রহমতের শুকরিয়ায় সেজদায় লুটিয়ে পড়েছি, বুকভরা বিনয় আর চোখভরা অশ্রু নিয়ে, আমি আমার অসহায়তা প্রকাশ করে মালিকের দরবারে মাথা নত করেছি। হে আল্লাহ! তোমার নেয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সামর্থ্যও তুমিই দান করেছ।
উল্লেখ্য যে, ফাহিম আল ইসহাক চৌধুরী সিলেট জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়নের মহিদপুর (মসজিদ ওয়ালা বাড়ি) গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বৃটেনে ও মধ্যপ্রাচ্যের একজন বিজনেস টাইকুন। বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা তার। প্রতিদিন তিনি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় বিজনেসম্যানদের সাথে ডিল করলেও ভুলে যান নি প্রিয় দেশ ও দেশের মাটির কথা। দেশ মাতৃকার টান তাঁর ভিতরে প্রবলভাবে নাড়া দেয়। দেশের অসহায় মানুষের কষ্ট তার হৃদয়কে চূর্ণ বিচূর্ণ করে দেয়। মানুষকে সাহায্যের জন্য তার হাত নিশপিশ করে। অসহায় দু:খী মানুষের কষ্টে তিনি নিজে ব্যথিত হন। নিজেকে ধরে রাখতে পারেন না। বাড়িয়ে দেন মানবতার হাত।
বিশেষ করে জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের গরীব, অসহায় ও দারিদ্র মানুষের কল্যাণে এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধনের টার্গেট নিয়ে “ফাহিম আল চৌধুরী ট্রাস্ট” প্রতিষ্ঠা করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। সিলেটের বিগত কয়েকটি বন্যা, বিগত জুলাই-আগস্টের ছাত্র আন্দোলন ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনবাসীর জন্য তিনি কোটি কোটি টাকা ব্যায় করে মানবতার এক জ্বলন্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন।
Leave a Reply