জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক কাসেমী বলেছেন, পিআর পদ্ধতিতে ভোট সম্পর্কে আমাদের অনেকেই জানেন না। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হচ্ছে প্রার্থী নির্বাচন না করে বিভিন্ন দলের প্রতীক দেখে ভোট দেয়া। এ পদ্ধতিতে ভোট হলে বিভিন্ন দল বিভিন্ন হারে ভোট পেয়ে এমপি দিতে গিয়ে মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি হবে। দেখা যাবে বিভিন্ন দল টাকাওয়ালা কিংবা শিল্পপতিদের টাকার বিনিময়ে এমপি দিয়ে দিয়েছে। অথচ এসব এমপি’র এলাকার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এরা আবার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়ন না করে নিজেদের কলকারখানা কিংবা শিল্পপতিষ্ঠানের উন্নয়ন শুরু করবে। তাই পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন ‘র’ একটি নীল নকশা বলে আমি মনে করি।
বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে অনুন্নত সিলেট-৫ আসন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে এই আসনের মানুষ আমাকে নজিরবিহীন ভোট দিয়েছেন। আমি জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের মানুষের নিকট চির কৃতজ্ঞ। আগামীতে আমি সংসদে যেতে পারলে জকিগঞ্জের নদী ভাঙন রোধ, উপজেলার সর্বত্র গ্যাস সংযোগ, যোগাযোগ, শিক্ষা ও চিকিৎসা সহ জনগুরুত্বপূর্ণ সব দাবী সংসদে তুলে ধরে এসবের সমাধান করবো ইনশাআল্লাহ।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ আসনে বিগত ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের আশির্বাদ নিয়ে তিন জন সংসদে গিয়েছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাবস্থায়ও উনারা জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের কোন উন্নয়ন করেন নি। শুধুমাত্র মানুষের ভোট ডাকাতির মাধ্যমে তারা সংসদ সদস্য হয়ে নিজেদের উন্নয়ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকাল ৬ টায় জকিগঞ্জ এম.এ.হক চত্বরে উপজেলা জমিয়ত আয়োজিত বিশাল গণ জমায়েতে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর তীরে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জকিগঞ্জের সর্বত্র গ্যাস সংযোগের দাবিতে আয়োজিত এ গণ জামায়েতে সভাপতিত্ব করেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, জকিগঞ্জ-এর সভাপতি মাওলানা শায়খ জাওয়াদুর রহমান।
জমিয়ত নেতা সাংবাদিক কে.এম. মামুন ও যুব জমিয়ত নেতা মাওলানা রায়হান উদ্দিনের যৌথ উপস্থাপনায় শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন গণ জমায়েত বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মাওলানা বিলাল আহমদ ইমরান।
গণ জমায়েতে প্রধান মেহমান হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ও সদ্য সাবেক সভাপতি মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জমিয়তের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড. মোহম্মদ আলী, কেন্দ্রীয় নেতা মাওলনা বদরুল হক, সিলেট জেলা উত্তরের সহ সভাপতি মাওলানা নূর আহমদ ক্বাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মুফতী এবাদুর রহমান, জকিগঞ্জ উপজেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মুফতী মাহমুদ হোসাইন, কানইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আলতাফ হোসেন, গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা গোলাম আম্বিয়া কয়েস, জকিগঞ্জ উপজেলা খেলাফত মজলিসের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মুছব্বির, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পৌর শাখার সভাপতি শায়েখ মুস্তফা আহমদ, জনকল্যাণ সোসাইটির সহ সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আতিকুর রহমান ও শ্রমিক জমিয়তের উপজেলা সহ সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।
এছাড়াও গণ জমায়েতে কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় জমিয়ত নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply