জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের আটগ্রাম বাজার সংলগ্ন সুরমা নদীতে ২১তম নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে বুধবার। মুজিব শতবর্ষ পালন উপলক্ষে আগামীকাল বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে আটগ্রাম কাড়াবাল্লা আঞ্চলিক ক্রীড়া সংস্থা। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় পুরুস্কার রয়েছে বিশাল দু’টি ষাড় এবং তৃতীয় পুরস্কার হিসাবে রয়েছে একটি রঙিন টেলিভিশন।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ আহমদ মজুমদার, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, কানাইঘাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মোমিন চৌধুরী, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম আহমদ, সিলেট জেলা পরিষদ সদস্য আলহাজ্ব আলমাছ উদ্দিন, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মোঃ আব্দুল আহাদ, কানাইঘাট পৌরসভার মেয়র লুৎফুর রহমান, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মস্তাক আহমদ পলাশ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম. তাজিম উদ্দিন, কানাইঘাট উপজেলার ৩নং দিঘীরপাড় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এম. মামুন উদ্দিন ও কানাইঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক তমিজ উদ্দিন মেম্বার।
একপত্রের মাধ্যমে জকিগঞ্জ সংবাদকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌকা বাইচ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুলকারনাইন লস্কর, সহ সভাপতি ও ১নং লক্ষীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মোঃ ফয়াজ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ মাহতাব উদ্দিন।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী সম্পর্কে আয়োজকরা জানান, পরিচালকবৃন্দ প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ের পূর্বে কমিটি কর্তৃক নির্ধারিত করা হবে। প্রচলিত ও স্থানীয় নিয়ম অনুযায়ী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা পরিচালনা করা হবে। প্রতিযোগী সকল নৌকা খেলা শুরু হওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে কমিটি বক্সের সম্মুখে উপস্থিত হতে হবে, অন্যতায় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন না। প্রতিযোগিতা দেশীয় পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে, এতে কোন ধরণের আপত্তি গ্রহণযোগ্য হবে না। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে এক নৌকা থেকে অন্য নৌকা কমপক্ষে ১০০ হাত দূরত্বে থাকতে হবে। নির্ধারিত সীমারেখা বরাবরে নৌকার প্রতিযোগী/মাঝি উভয়ের ত্রুটির জন্য উপরে বর্ণিত নিয়ম লঙ্ঘনকারী দল উভয়ে পূনরায় কমিটির সিদ্ধান্ত মতে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময়ে কোন খেলোয়াড় বা কোন দল অশালীন আচরণ করলে কমিটি কর্তৃক প্রতিযোগী নৌকাকে বাতিল করতে পারবে এবং অভিযুক্ত দল কমিটির যাবতীয় ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকিবে। প্রতি নৌকা দুই হাজার টাকা এন্ট্রি ফি বিকাশ পার্সোনাল নাম্বার ০১৭১৪-৬২৮৫৬০ যোগাযোগের মাধ্যমে বর্ণিত এন্ট্রি ফি জমা দিতে পারবেন। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর-২০২১ )-এর মধ্যে প্রেরণ করে নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর কোন দলকে তালিকাভুক্ত করা যাবে না। প্রয়োজনে ০১৭২৬-০৯৬৮১২ নাম্বারে যোগাযোগ করতে করতে পারবেন। প্রত্যেক খেলোয়াড় বা তার দল খেলার যাবতীয় সরঞ্জামাদী নিজ নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। কোন কিছু হারিয়ে গেলে কিংবা কোন প্রকার ক্ষতি হলে কমিটিকে দায়ী করা যাবেনা। বিশেষ কোন কারণে পরিচালনা কমিটি এ খেলা স্থগিত/পরিবর্তন/বাতিল করতে পারবেন। প্রতিটি খেলার তিনটি করে দৌড় (খেলা) অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিটের মধ্যে খেলা শেষ না হলে ওইদিনের মতো খেলা বন্ধ করা হবে। সকল অংশগ্রহণকারী নৌকার মালিকগনকে খেলা পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কারের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া প্রতিযোগী নৌকার দক্ষ মাঝিকে আকর্ষনীয় পুরস্কার দেয়া হবে।
আয়োজকরা বলেন, সর্বোপরি কমিটির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে। কেবলমাত্র প্রতিযোগিতা চলাকালীন সময় পরিচালকের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
Leave a Reply