সারাদেশের ন্যায় পঞ্চম ধাঁপে গত ৫ই জানুয়ারী বুধবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো এগিয়ে রয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম। সাবেক এই ছাত্রনেতা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ২০১৬ সালের ইউনিয়ন নির্বাচনে অংশ নিয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবারের নির্বাচনেও তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে বিপূল ভোটে এগিয়ে থাকলেও গণিপুর ভোট কেন্দ্রে ব্যালেট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনায় ফলাফল স্থগিত হওয়ায় বেসরকারিভাবে তাকে নির্বাচিত করা হয়নি। এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ইউনিয়নের ১০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি ভোট কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া যায়। প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম আনারস প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৮শ ১৫টি, বিএনপি ঘরানার স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাসান আহমদ চশমা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২ হাজার ৯শ ৯০টি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ইকবাল আহমদ চৌধুরী একল নৌকা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১শ ১৭টি, জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ রিমন আহমদ চৌধুরী লাঙ্গল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ১শ ১৬টি, জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ জালাল উদ্দিন টেবিল ফ্যান প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে ভোট পেয়েছেন ১ হাজার ৩৭টি, খেলাফত মজলিস ঘরানার সাবেক চেয়ারম্যান হাজী বুরহান উদ্দিন ঘোড়া প্রতীকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পেয়েছেন ৮শ ৩১টি ভোট ও জাতীয় পার্টির আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী প্রবাসী মোঃ আনোয়ার হুসেন হেলালী মোটর সাইকেল প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করে পেয়েছেন ৩শ ৫৭টি ভোট। এ ইউনিয়নের স্থগিতকৃত ভোট কেন্দ্রে সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮শ ৪১ জন। এই কেন্দ্রে পূনরায় নির্বাচন শেষে বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা হবে কে হচ্ছেন ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন-এর পরবর্তী কান্ডারী। তবে ইউনিয়নবাসীর মতে, এগিয়ে থাকা বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ রফিকুল ইসলাম-ই হচ্ছেন এই ইউনিয়ন- এর আগামী দিনের চেয়ারম্যান।
উল্লেখ্য যে, জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮হাজার ৫শ ১৮জন। এবারের নির্বাচনে মোট ১০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৯টি কেন্দ্রের কাস্টিং ভোট ছিল ১১ হাজার ৫শ ৪১টি। তন্মধ্যে মোট বৈধ ভোট ১১ হাজার ২শ ৬৩টি ও মোট অবৈধ (বাতিলকৃত) ভোট ২শ ৭৮টি।
Leave a Reply