উচ্চ আদালতে দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে মহামান্য হাইকোর্টের রায়ে দায়িত্ব ফিরে পেলেন জকিগঞ্জ উপজেলার ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম।
রোববার (২৫ মে) বিকাল ৫ ঘটিকায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ইউনিয়নের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফখরুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেন।
দায়িত্ব গ্রহনকালে উপস্থিত ছিলেন ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য শাহেল আহমদ খোকন, ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুর রহমান আতিক, ৫নং ওয়ার্ডের সদস্য আজিজুর রহমান আজিজ, ২নং ওয়ার্ডের সদস্য মুজিবুর রহমান এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য জাহানারা বেগম। এছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, “দুটি ভিত্তিহীন ও মিথ্যা মামলায় আমাকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম এবং আদালতের ওপর আস্থা রেখেছিলাম। অবশেষে সেই আইনি লড়াইয়ে আমি বিজয়ী হয়ে পুনরায় দায়িত্বে ফিরেছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি। জনগণ যদি না চায়, তাহলে আমি এক মুহূর্তও চেয়ারে বসে থাকবো না। তবে ষড়যন্ত্র করে আমাদের পথ রুদ্ধ করা যাবে না, কারণ জনগণ সবসময় আমাদের পাশে রয়েছে।”
জানা যায়, বিগত বছরের ৫ আগস্টের পর ছাত্র জনতার উপর হামলার অভিযোগে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দু’টি ফৌজদারি মামলা হওয়ায় তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর অনুপস্থিতিতে কাজ পরিচালনার জন্য প্যানেল চেয়ারম্যান-১ শিহাব উদ্দিনকে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রদান করা হয়। চেয়ারম্যান জামিনে মুক্তি লাভ করার পর তাঁর দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জকিগঞ্জ, সিলেট বরাবর চলতি বছরের ১৯ মার্চ এবং সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর বিগত ৬ এপ্রিল পৃথক দু’টি আবেদন করেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পরপর দু’টি আবেদন করার পরও কোন ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ না করায় তিনি মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে গত ২৮ এপ্রিল একটি রিট পিটিশন (নং-৬৪৯৪/২০২৫) দায়ের করেন। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক ফাতেমা নাজিব ও বিচারক সিকদার মজুমদার রাজী গত ২৮ এপ্রিল ৬নং সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়ে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্বভার দেয়াকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবেনা মর্মেও ১৫ দিনের সময় দিয়ে রুল জারী নিশি জারি করেন। একই সাথে ৩ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ প্রদান করেন।
Leave a Reply