জকিগঞ্জে হতদরিদ্রদের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ওএমএসের চাল ও আঠা বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ডিলারদের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে জকিগঞ্জ পৌর এলাকার আকরামুল হক সহ একাধিক ব্যক্তি মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জকিগঞ্জ পৌরসভার ৫ জন ডিলার জকিগঞ্জ খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (এল.এস.ডি)-কে ম্যানেজ করে অসদুপায়ে নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে ও.এম.এস.-এর চাল ও আঠা বিক্রয় না করে জকিগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকানে উক্ত সরকারি চাল ও আঠা বিক্রয় করে সরকারের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের স্বল্প মূল্যে ক্রয় করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছেন। ডিলারগণ নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে পণ্য বিক্রয়ের নামে লাইনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে ৫/৭ জনের নিকট ও.এম.এস.-এর চাল ও আঠা স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে অবশিষ্ট মাল তাদের গুদামে স্টক রেখে লাইনে থাকা বাকি গ্রাহকদেরকে মাল নেই বলে সরিয়ে দেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, সরকারি ও.এম.এস.-এর চাল ও আঠা অবৈধভাবে স্টক করে জকিগঞ্জ বাজারের বিভিন্ন মুদি দোকানে বিক্রির বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি সহযোগিতায় বরাদ্দের সিংহভাগ চাল ও আঠা ডিলাররা খোলাবাজার ও কালো বাজারে বিক্রি করেছেন। এতে সুবিধাবঞ্চিত হয়েছেন কয়েক’শ সুবিধাভোগী।
অভিযোগ দাতাগণ জকিগঞ্জ পৌরসভার ৫ জন ও.এম.এস.-এর চাল ও আঠার ডিলারের দূর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অতি.) উজ্জ্বল ভট্টাচার্য বলেন, অভিযোগ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় আমাকে তদন্তের জন্য দিয়েছেন। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ইউএনও মহোদয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম মিতু বলেন, আমি অভিযোগ পেয়ে তা তদন্তের জন্য উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসারকে দায়িত্ব প্রদান করেছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply