ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটালো সিলেটের সীমান্তবর্তী উপজেলা জকিগঞ্জবাসী। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্রে প্রচার হয় জকিগঞ্জ একদল ডাকাত ঢুকে পড়েছে। অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুহূর্তেই সংবাদটি সর্বত্র সয়লাব হয়ে যায়। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, গ্রাম ও পাড়া-মহল্লায় ডাকাত দল ঢুকেছে বলে মাইকে প্রচার করা হয়। এরপর থেকে উপজেলার প্রতিটি এলাকার মানুষ রাত জেগে নিজ নিজ এলাকা পাহাড়া দিতে শুরু করে। তৎপর হয়ে উঠে জকিগঞ্জ থানা পুলিশসহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম মুন্না ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের বিভিন্ন দল উপজেলা জুড়ে তল্লাশি শুরু করেন। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপন করা হয় পুলিশি চেকপোস্ট। খবর পেয়ে চলে আসেন খোদ সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা সংবাদ পেয়েছেন একদল ডাকাত জকিগঞ্জ উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের হাওর এলাকা দিয়ে কামালপুর সহ আশপাশের এলাকায় ঢুকেছেন। সে অনুযায়ী পুলিশ প্রযুক্তির সহযোগিতায় বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে কামালপুর সহ আশপাশের এলাকাকে নজরদারীর ভিতরে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু ডাকাত দল জনগণের সতর্ক অবস্থান ও পুলিশের তৎপরতায় কৌশলে আত্মগোপন করে পালিয়েছে।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোন গ্রামে ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি এবং কোথাও কোন ডাকাত আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলার কাজলসার ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের দু’টি বাড়ির খড়ের ঘরে রাতের অন্ধকারে একদল দুষ্কৃতিকারী আগুন লাগিয়ে দেয়। বিষয়টিকে কেউ কেউ ডাকাত দল পালিয়ে যাওয়ার কৌশল দাবী করলেও অনেকেই এটাকে কতিপয় দুষ্কৃতিকারীদের পরিকল্পিত সাজানো নাটক বলেও দাবী করছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, গতকাল রাতে জকিগঞ্জে একদল ডাকাত ঢুকার বিষয়টি অনেকটা নিশ্চিত। জনগণের সতর্ক অবস্থান ও পুলিশের তৎপরতার কারণে তারা ডাকাতি না করে কৌশলে আত্মরক্ষা করেছে। তিনি আগামী ২/৩ দিন জকিগঞ্জ থানা এলাকার প্রতিটি মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
Leave a Reply