সিলেট-৫ আসনে নির্বাচন করতে অনড় ও বেপরোয়া মনোভাব সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ চাকসু মামুনের। প্রতি নির্বাচনে আর ছাড় দিতে রাজী নয় তিনি। তাই বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে তাঁর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন নেতাকর্মীরা। তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের ছবি নিজের ভেরিফাই ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে পরিস্কার নির্বাচন করার দৃড় অঙ্গীকারব্যাক্ত করেছেন। তিনি নিজের ব্যক্তিগত এই আইডিতে লিখেন-যাঁরা এখনও মাঠে ছড়ানোর চেষ্টা করছেন আমি নির্বাচন করবো কিনা??
তাদের সবার সদয় জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি- মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন জীবিত রাখলে ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনে আমি থাকছি। কোন ভাবেই নির্বাচনে কাউকে ছাড় দেবার সুযোগ নাই। ইনশাআল্লাহ নির্বাচনে বিজয়ই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য! নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ প্রথম ধাপ। আমার সহযোদ্ধারা আজ সেই কাজটি সম্পন্ন করেছেন! সবার কাছে দোয়া এবং সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
এছাড়াও তিনি মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জকিগঞ্জের কয়েকটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেন মামুনুর রশীদ। সেখানে তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেন। পরে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জকিগঞ্জ বাজারে গণসংযোগে অংশ নেন।
এসব কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জকিগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সেলিম, যুগ্ম সম্পাদক মাসুক আহমদ, কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওয়েছ আহমদ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুস শুক্কুর, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য রিপন আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আহমদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শামসুল ইসলাম লেইছ, পৌর বিএনপি নেতা শামীম আহমদ, যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল হাসান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন প্রমুখ।
অন্যদিকে একই দিনে জকিগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ে উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবার সদস্যদের অংশগ্রহণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বীরমুক্তিযোদ্ধাগণ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে চাকসু মামুনের পাঁশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
তবে চাকসু মামুনের এমন অনড় অবস্থান ও বেপরোয়া মনোভাব মনোনয়ন প্রত্যাশী অপর প্রার্থীরা বাঁকা চোঁখে দেখছেন। তাদের মতে, দলের সিদ্ধান্ত বাহিরে গিয়ে তিনি যেভাবে নির্বাচন করতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন, তাতে মনে হচ্ছে তিনি দল করেন ক্ষমতার জন্য বা এমপি হওয়ার জন্য। তাঁরা বিষয়টিকে দলের খুবই ভিন্ন চোঁখে দেখছেন।
অপরদিকে চাকসু মামুন সমর্থক বিএনপি নেতাকর্মীদের মতে, দলের দুর্দিনে পাঁশে দাঁড়ানোর জন্য চাকসু মামুন ছাড়া কাউকে পাইনি। আজ বসন্তের কুকিলের মতো অনেকেই এসে এমপি হতে চেয়ে মামুন ভাইয়ের জনপ্রিয়তা দেখে মাঠ ছেড়েছেন। এখন নিজেদের পা শক্ত করে বসাতে না পেরে জোটের প্রার্থীকে ছেড়ে দিয়ে এ আসনে বিএনপিকে ডুবানোর চেষ্টা করছেন। তবে ইনশাআল্লাহ এবার আমরা এ আসন ডুবতে দেবনা। ধানের শীষ প্রতীক না পেলে যে কোন প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে আনবো।
Leave a Reply