জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক বলেছেন- দেশের জনগণ একটি অস্থির সময় পার করছে। দীর্ঘ ২০ বছরের স্বৈরতন্ত্রের অবসান হলেও সামগ্রিক বিচারে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এখনো নিরাপদ নয়। এমতাবস্থায় জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও সর্বক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনতার রায়ে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নেই। সে হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগনের সমর্থন পেলে সিলেট-৫ আসনের সামগ্রিক উন্নয়ন ও বঞ্চিত জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠায় জীবনের শেষ সময়টুকু উৎসর্গ করতে চাই।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সিলেট নগরীর পূর্ব বন্দরবাজারস্থ হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনালে সিলেট শহরে অবস্থানরত জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের আলেম-উলামা ও সুধীজনদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথাগুলো বলেন।
সিলেট-৫ আসনে খেজুর গাছ মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এ মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বৃহত্তর সিলেটের আলেম সমাজের অভিভাবক কানাইঘাটের প্রখ্যাত বুযুর্গ আল্লামা মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস শায়খে লক্ষিপুরী।
খেজুর গাছ মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটি কানাইঘাটের আহবায়ক সাবেক চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হোসাইন চতুলী ও জকিগঞ্জের মাওলানা রায়হান উদ্দিনের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় সিলেটে অবস্থানরত জকিগঞ্জ-কানাইঘাটের বিপুল সংখ্যক আলেম-উলামা, সুধীজন, পেশাজীবি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত তুলে ধরেন।
মতবিনিময় সভায় জমিয়ত সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক আরও বলেন- নাগরিক অধিকার সুরক্ষা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে একটি আদর্শ-শান্তিপূর্ণ ও নাগরিক অধিকার সমৃদ্ধ রাষ্ট্র বিনির্মাণে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান নির্বিশেষে সকল ধর্মাবলম্বী জনগণের উম্মুক্ত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ কানাইঘাটের উন্নয়নে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে চাই। প্রতিশোধ পরায়ণতা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, গুম-খুন ও অস্ত্রের ঝনঝনানী বন্ধ করে সুস্থ ধারার রাজনীতি চর্চা নিশ্চিত করণে সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।
তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে অহেতুক হয়রানি না করার পরিবেশ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর জানিয়ে বলেন- মহান আল্লাহর দয়ায় আর আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতায় আমি নির্বাচিত হলে শিক্ষার মানোন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বেকারদের কর্মসংস্থান, নদী ভাঙ্গনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ, কৃষি খাতে উন্নয়ন সহ দুর্নীতি মুক্ত উন্নয়নশীল জকিগঞ্জ-কানাইঘাট উপহার দিতে আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। ইনশাআল্লাহ।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট দরগাহ মাদ্রাসার শায়খুল হাদীস মাওলানা সালেহ আহমদ জকিগঞ্জী, পীরে কামিল মাওলানা শফিকুল হক সুরইঘাটী, খতীব উবায়দুল হক (রাহ.)-এর সাহেবজাদা মাওলানা আতাউল হক জালালাবাদী, আজাদ দ্বীনি এদারার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা ইউসুফ খাদিমানী, বিশিষ্ট আলেম মুফতি সিদ্দিক আহমদ চিশতি, জমিয়তের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা ক্বারী হারুনুর রশিদ, মুফতি এবাদুর রহমান, মাওলানা নুর আহমদ ক্বাসিমী, মাওলানা সদরুল আমিন, মাওলানা আশিকুর রহমান, মাওলানা আশরাফ উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আব্দুর রহমান নাদিম, মাওলানা খলীলুল্লাহ মাহবুব, মাওলানা শামীম আহমদ, হাফিজ জামিল আহমদ, আবু হানিফ সাদি ও আবুল হাসান প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিশিষ্ট রাজনীতিবীদ আলহাজ্ব এম এ মতীন চৌধুরী, সমাজসেবী মুহিউদ্দীন আহমদ, সিলেট উইমেন্স মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ হারুন, সাবেক এডিসি ইয়াহিয়া আহমেদ, আল মানার হাসপাতালের ডিরেক্টর জয়নুল আবেদীন, শিক্ষাবিদ আবুল খায়ের, ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা শামসুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা জামাল উদ্দিন, সাইফুল্লাহ খালেদ ও ইঞ্জিনিয়ার ফারুক আহমদ প্রমূখ।
Leave a Reply