জকিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ভয়াবহ কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুৎ লাইন ও ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার (১৩ মে) বিকেলের দিকে আকস্মিক এই ঘূর্ণিঝড়ে বেশ কিছু ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর ৭নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত কামালপুর গ্রামের ১০/১২টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়ে যায়। এতে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। আবার অনেকেই বিধ্বস্ত ঘরের নীচে পড়ে আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য ফারুক আহমদ বলেন, আমার ওয়ার্ডের প্রায় ১০/১২ টি বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমি ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কয়েকটি বাড়ি দেখে এসেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- জকিগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামের শিহাব উদ্দিন, সানু মিয়া, আমির উদ্দিন, আব্দুল হান্নান হানা মিয়া, দেলোয়ার আহমদ, আজির উদ্দিন, কয়ছর আহমদ, শফিকুর রহমান, কামরুল হুদা কমরু, তাহির আলী, মখলিছুর রহমান, শরিফ উদ্দিন, হাছনা বেগম, কদই মিয়া, আব্দুল জলিল, লায়েক আহমেদ, মৃত জামাল উদ্দিন, মৃত আলতাফ উদ্দিন, আব্দুল লতিফ, নাইস উদ্দিন, মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আলম আহমদ ও কালাম আহমদ।
স্থানীয়রা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বেশীর ভাগ হচ্ছেন গরীব, অসহায় ও দিনমজুর পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলো খেটে খাওয়া হওয়ায় তাদের ঘুরে দাঁড়ানো অসম্ভব। তাই এদের জন্য সরকারি ও বেসরকারি অনুদান খুবই প্রয়োজন।
এদিকে বিদ্যুতের ক্ষয়তির পরিমাণ জানতে পল্লী বিদ্যুৎ জকিগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চারিদিকে লোক পাঠিয়েছি। ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ণয় করতে কিছু সময় লেগে যেতে পারে।
এ প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পল্লব হোম দাস জানান, আমরা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা করতে বলেছি। আমাদের হাতে তালিকা আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply