লিবিয়ায় ১১৬ দেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অধিকারী হাফিজ আবু তালহা-কে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (২৫ জুন) বিকাল ৩ ঘটিকায় জকিগঞ্জ এম.এ.হক চত্বরে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে এ সংবর্ধনা প্রদান করেন জকিগঞ্জবাসী।
বিশাল এ নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাগরিক সংবর্ধনা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ও জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মুফতী আবুল হাসান।
কমিটির সদস্য সচিব মাওলানা মুখলিছুর রহমান ও যুগ্ম সদস্য সচিব সাংবাদিক কেএম মামুনের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জামেয়া ইমদাদিয়া কিশোরগঞ্জের শায়খুল হাদীস আল্লামা শফিকুর রহমান জালালাবাদী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এডভোকেট মোশতাক আহমদ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল আহমদ, মুনশীবাজার মাদরাসার শায়খুল হাদীস আল্লামা আবদুল মুছাব্বির আইয়রী, জকিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবদুল আহাদ, জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুস সবুর, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাকিম হায়দার, গোলাম রোকবানী চৌধুরী জাবেদ, জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোশররফ হোসেন, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আকরাম আলী, রাজনীতিবীদ মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মোহাম্মদ বুরহান উদ্দিন, জাতীয় পার্টির নেতা মর্তুজা আহমদ চৌধুরী, ইউকে প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মাওলানা আবদুর রব, প্রবীণ আলিম শায়খ মাওলানা ফয়জুর রহমান, শায়খ মাওলানা আবদুল মুছাব্বির, জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাওলানা আফতাব আহমদ, খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল হক, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা মাহমুদ হোসাইন, এমএ ফাত্তাহ, এমএ কুদ্দুস, আজমল হোসেন, আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা জয়নুল ইসলাম, আবদুল কাইয়ূম, হাফিজ ফুজায়েল আহমদ ও হাফিজ শহিদুর রহমান প্রমূখ।
নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “বিভিন্ন মুসলিম দেশে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের ছেলেরা যেভাবে লাল সবুজের পতাকাকে বার বার সমুন্নত করছে,তাদেরকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও সম্মাননা জানালে সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।”
বক্তাবৃন্দ আরো বলেন,”বাংলাদেশের এই একটিমাত্র সেক্টর, যেখানের ছেলেরা বিশ্ব মঞ্চে বাংলাদেশের নামকে বার বার উচ্চকিত করছে; তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে মূল্যায়ন করা সময়ের দাবি। যা না করলে তাদের অবমূল্যায়ন হবে। তাই বিশ্বজয়ী হাফিজদেরকে রাষ্ট্রীয় ভাবে সম্মাননা প্রদান করার জন্য সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এরকম বিশ্বজয়ী হাফিজদের তৈরী করছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে রাষ্টীয়ভাবে পুরস্কৃত করতে হবে। সারা দেশে কোরআন চর্চার পরিবেশ অবারিত করতে হবে।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাফিজ আবু তালহাকে সিলেটের পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন-এর পক্ষে জকিগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মোশাররফ হোসেন ফুলের তোড়া ও নগদ অর্থ উপহার হিসেবে প্রদান করেন। অপরদিকে তাকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও একসেট তাফসীর গ্রন্থ উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও ফুলের তোড়া দিয়ে তাকে সম্মাননা জানানো হয়।
এর পূর্বে হাফিজ আবু তালহাকে এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মোটর শোভাযাত্রা সহকারে অনুষ্ঠান স্থলে নিয়ে আসা হয়। পথিমধ্যে চারখাই পয়েন্ট নামক স্থানে বিয়ানী বাজার ও জকিগঞ্জের দুই শতাধিক মোটরসাইকেল শোভাযাত্রায় মিলিত হয়।
জানা যায়, বিশ্বজয়ী হাফিজ আবু তালহা জকিগঞ্জ উপজেলার ৪নং খলাছড়া ইউনিয়ন-এর ঐতিহ্যবাহী মাদারখাল গ্রামের প্রবাসী আব্দুল খালিক-এর সন্তান। সে প্রথমে মাদারখাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এবং পরে জকিগঞ্জ দারুল হিকমা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে ঢাকায় গিয়ে অন্তর্জাতিক মানের একটি হিফজুল কুরআন মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে হিফজ সম্পন্ন করে।
Leave a Reply