সড়কের মাঝে বড় একটি অংশ ভেঙে পরিণত হয়েছে মৃত্যুকূপে। ‘হা’ করে থাকা গর্তের চারপাশে নেই কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী। এই গর্তই বিপদ হয়ে দেখা দিয়েছে যাত্রীদের চলাচলে। কিন্তু এটি মেরামতের উদ্যোগ নিচ্ছে না এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। সেই ভাঙা অংশের দু’পাশ দিয়েই মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়কে দীর্ঘ দুইমাস থেকে এভাবে ভয়ংকর গর্ত থাকা সত্ত্বেও প্রাথমিকভাবে সংস্কার বা দুর্ঘটনা এড়াতে কোন পদক্ষেপই নেয়নি কর্তৃপক্ষ। সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার ব্যস্ততম জকিগঞ্জ-টু-শেওলা জিরোপয়েন্ট সড়কের বেউর এলাকায় ভয়ংকর এই গর্তের অবস্থান।
জানা যায়, জকিগঞ্জ উপজেলার ৪নং খলাছড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বেউর এলাকায় থাকা এই গর্ত এখন স্থানীয় এলাকাবাসীর নিকট একটি ভয়ংকর মৃত্যুকুপ। উপজেলা এলজিইডি অফিসে একাধিকবার যোগাযোগ করে ব্যার্থ হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেও কোন সুরাহা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী। এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসীর মতে, ভয়ংকর এই গর্তে প্রাণহানি না ঘটলে টনক নড়বে না কর্তৃপক্ষের। তারা কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে যাতে কোনো মায়ের বুক খালি না হয় সেই দাবী জানাচ্ছেন। অবহেলার কারণে যদি কারো প্রাণহানি ঘটে তবে এসবের দায়ভার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে বলে তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আলাপকালে জানা যায়, প্রায় ৩০ বছর আগে সড়কের দুই পাশের পানি চলচলের জন্য একটি ড্রেন নির্মাণ করা হয়। মাস দুয়েক পূর্বে এই ড্রেন ভেঙে সড়কের মাঝে ভয়ংকর গর্তের সৃষ্টি হয়। এমতাবস্থায় এলাকার লোকজন বিপদজনক সেই গর্তে একটি বাঁশে পলিথিন বেঁধে সতর্কীকরণ চিহ্ন দিয়ে রেখেছেন। কিন্তু সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর এনিয়ে চরম দায়িত্বহীন আচরণ করছে। এতে যানবাহন চালক ও পথচারীরা চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। যে কোন মুহূর্তে অসাবধানতাবশত যানবাহন গর্তে পড়ে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে খলাছড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হক জানান, এই গর্ত সৃষ্টি হওয়ার পর এলাকার লোকজন স্থানীয় এলজিইডি অফিসে যোগাযোগ করেছেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদনও করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাজ হচ্ছেনা। অপরদিকে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াও কেউ কাজ করার উদ্যোগও নিচ্ছেন না।
জকিগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি অফিসের সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ওই সড়কের বেউর এলাকায় গর্তের বিষয়ে তাঁরা অবগত হয়েছেন। ইতোমধ্যে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। এলজিইডি’র এখন কোন ফান্ড না থাকায় প্রাথমিকভাবেও কোন কাজ করা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কেউ আবেদন দিয়ে থাকলে আমি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Leave a Reply