সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হয়ে ধানের শীষে নির্বাচন করার আগ্রহ ছিল সিলেট জেলা বিএনপির সহ সভাপতি মামুনুর রশীদ চাকসু মামুনের। তবে আসন সমঝোতার কারণে এই আসন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সভাপতি মাওলানা মোঃ উবায়দুল্লাহ ফারুক-কে ছেড়ে দিয়েছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবেন তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থীরা যেসব আসনে নির্বাচন করবেন বিএনপি সেসব আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না। এসময় তিনি জনগণকে খেজুর গাছ প্রতীকে ভোট দিয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
সিলেট-৫ আসনে ব্যাপক আলোচনায় ছিলেন মামুনুর রশীদ চাকসু মামুন। গত ৩ নভেম্বর ২৩৭ আসনে বিএনপি প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। সেই তালিকায় সিলেট-৫ আসনে কারো নাম ঘোষণা করেনি বিএনপি। এরপর থেকেই বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যান এই আসনটিতে প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে জোটের মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুক-কে। তবে বিএনপির চাকসু মামুন বন্ধ রাখেননি তার নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দলের মনোনয়ন না পেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি।
দলীয় মনোনয়ন না পেলেও ওই আসন থেকে নির্বাচন করার কথা বারবার জানিয়ে আসছিলেন চাকসু মামুন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অন্যান্য প্রার্থীরা দলের সিদ্ধান্তের উপর আস্তা ও ভরসা রেখে নীরব থাকলেও চাকসু মামুন ছিলেন নির্বাচন করতে অনড় ও অবিচল। জনগণ চাইলে মার্কা যা-ই হোক তিনি নির্বাচন করবেন এমন ঘোষণা বারবার দিয়ে আসছিলেন।
মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিলেট-৫ আসনে জমিয়ত সভাপতি মাওলানা উবায়দুল্লাহ ফারুককে নিজেদের নির্বাচনী জোটের প্রার্থী ঘোষণা করার পরপরই বিদ্রোহী হওয়ার ঘোষণা দেন বিএনপি নেতা চাকসু মামুন। তিনি নিজের ব্যক্তি ভেরিফাই ফেসবুক আইডিতে লিখেন- দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে আমি আপনাদের সুখ-দুঃখে সর্বোচ্চটা দিয়ে পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। আমাদের এলাকার আরও উন্নয়ন এবং আপনাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আমি আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট -৫ ( জকিগঞ্জ-কানাইঘাট) আপনাদের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কোনো দলের প্রার্থী নয়, বরং আপনাদের আস্থার প্রতিনিধি হতে চাই। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং আধুনিক এলাকা গড়ার এই লড়াইয়ে আপনাদের দোয়া ও সমর্থন আমার একমাত্র পাথেয়।
আসুন, আমরা দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে এলাকার স্বার্থে এক হই। আপনাদের সকলের সহযোগিতা অংশগ্রহণ ও দোয়া একান্ত কাম্য।
বিষয়টি নিশ্চিত হতে এ বিষয়ে বিএনপি নেতা চাকসু মামুনকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, আমি ফেসবুকে যা লিখেছি তা-ই করবো। এর বাহিরে তাঁর কোন বক্তব্য নেই।
Leave a Reply