জকিগঞ্জ উপজেলার ৮নং কসকনকপুর ইউনিয়নের পুকরা গ্রামের ময়নুল হকের মেয়ে রাহেলা আক্তার (২৪) বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার বাবুর বাজার সংলগ্ন সুন্দরারচক গ্রামের আতাউর রহমান (আতা দর্জি)’র ছেলে ছাইফুর রহমানের সাথে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার রাহেলা চলে যান বাবার বাড়িতে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে প্রায় চার মাস আগে আবারো আসেন স্বামী ছাইফুর রহমানের সংসারে। রাহেলা আক্তারের ৬ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
গৃহবধুর বাবা ময়নুল হক জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাহেলার স্বামী ছাইফুরের মাধ্যমে রাহেলাকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে পর দিন সকালে অবস্থা বেগতিক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বৃহস্পতিবার সকালে চিকিৎসারত অবস্থায় রাহেলা মৃত্যু বরণ করেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল হালিমসহ গৃহবধুর আত্মীয়রা জানান, স্বামীর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনে তার মৃত্যু হয়েছে। নির্যাতনের বিষয়টি ধামাচাঁপা দিতে আমাদেরকে কোন কিছু জানানো হয়নি। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে রাহেলাকে মেডিকেল ভর্তি করা হয়েছে জানতে পেরে সুন্দরারচক গেলে ছাইফুরের স্বজনরা আমাদেরকে কোন কিছু না বলে গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দেন। বৃহস্পতিবার সকালে তার মৃত্যু হয়েছে।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আবুল কাসেম জানান, এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। সাইফুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। ছেলে পক্ষ বলছে মেয়ে বিষ খেয়েছে। মেয়ের বাবার অভিযোগ তার মেয়েকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিষয়টি জানা যাবে।
Leave a Reply