জকিগঞ্জের এক সময়ের আলোচিত শিক্ষক আব্দুল করিম হত্যার ঘটনায় তাঁর আপন ভাই পুলিশের এসআই আব্দুশ শাকুর-এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এসএমপি’র বিভাগীয় মামলায় স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন ১০ জন স্বাক্ষী।সিলেট নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকায় অবস্থিত এসএমপি’র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অপারেশন -উত্তর) গৌতম দেব এর কার্যালয়ে রবি ও সোমবার পৃথক দু’দিনে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে তারা লিখিত স্বাক্ষ্য প্রদান করেন। তবে এ সময় অভিযুক্ত সাময়িক বরখাস্তকৃত এসআই মোঃ আব্দুশ শাকুর উপস্থিত থাকার জন্য নোটিশ প্রদান করা হলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।
স্বাক্ষ্য প্রদানকারীরা হলেন- শিক্ষক আব্দুল করিম-এর ছোট ভাই ফাহিম-এর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী রোজিনা বেগম, প্রবীণ শিক্ষক মোঃ আব্দুছ ছুবহান, জকিগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র সাবেক সভাপতি মাহতাব উদ্দিন, গণিপুর কামালগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল আজিম উদ্দিন, সাজ্জাদ মজুমদার বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক কুতুব উদ্দিন, গঙ্গাজল হাসানিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার প্রভাষক (বাংলা) আবুল কালাম আজাদ, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাব-এর যুগ্ম সম্পাদক রহমত আলী হেলালী, জকিগঞ্জ দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহিবুর রহমান, জকিগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি’র সভাপতি আব্দুশ শহীদ তাপাদার ও জকিগঞ্জ কওমী মাদ্রাসা ঐক্য পরিষদ-এর প্রচার সম্পাদক কেএম মামুন।
এর আগে একই মামলায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশে কর্মরত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আব্দুল মাবুদ ও সিলেট মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারি পুলিশ কমিশনার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পৃথক ভাবে সকলের লিখিত স্বাক্ষ্য গ্রহণ করেন। বরখাস্তকৃত পুলিশের এসআই আব্দুশ শাকুর শুধুমাত্র এসএমপি’র গোয়েন্দা শাখার তদন্তকালে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ২০১৪ সালের ৮ জুলাই দিবাগত রাতে (পবিত্র রমজানের রাতে) নিজ ভাইদের হাতে নির্মমভাবে খুন হন জকিগঞ্জের মেধাবী শিক্ষক আব্দুল করিম। এ ঘটনায় নিহত শিক্ষক আব্দুল করিম-এর ছোট ভাই পুলিশের এসআই আব্দুস শাকুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করেন নিহত শিক্ষকের ছোট ভাই ফাহিম-এর স্ত্রী রোজিনা বেগম। পরবর্তীতে পুলিশ বাদীর স্বামী আব্দুল হামিদ ফাহিমকে অভিযুক্ত করে ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট প্রদান করে।
অপর দিকে পুলিশের এসআই আব্দুশ শাকুরে বিভাগীয় বিচার দাবী করে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর শিক্ষক করিম হত্যার প্রতিবাদী মঞ্চের ৭জন নেতা অপর একটি আবেদন দাখিল করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি’র বিভাগীয় মামলা নং-০১/২০১৫, তারিখ-০৪,০১,২০১৫ খ্রিস্টাব্দ দায়ের করা হয়।
Leave a Reply