জকিগঞ্জ উপজেলার শাহগলি বাজারের পার্শ্ববর্তী সুরমা নদীতে পাহাড়ি ঢলে নেমে আসা লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়া যুবক আনোয়ার মিয়া (৪০)-এর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গোলাপগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের চৌঘরি বাজারের পার্শ্ববর্তী সুরমা নদীতে লাশ ভাসমান দেখে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করেন।
নিহত আনোয়ার মিয়া জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়নের শাহগলি বাজারের পার্শ্ববর্তী সরকারি আশ্রয়ণ প্রকল্প (গুচ্ছগ্রাম)-এর সুনু মিয়ার ছেলে। তাঁর স্ত্রী ও তিনটি অবুঝ শিশু রয়েছে।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে সুরমা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেসে আসা লাকড়ি সংগ্রহের জন্য আনোয়ার মিয়া নদীতে নামেন। মাঝ নদীতে গিয়ে তিনি পানির স্রোতে তলিয়ে যান। এরপর এলাকার লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান চালিয়ে নদীতে তীব্র স্রোত থাকার কারণে উদ্ধার করতে ব্যার্থ হন। অবশেষে নিখোঁজের তিন দিনের মাথায় শুক্রবার গোলাপগঞ্জ উপজেলার চৌঘরি এলাকায় সুরমা নদী থেকে তাঁর ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করেছেন জকিগঞ্জ উপজেলার ১নং বারহাল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।
তিনি জানান, নিহত ওই ব্যক্তি মুলত সিলেটের অন্য একটি এলাকার বাসিন্দা। সে জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রাম এলাকায় বিয়ে করে শাহগলি আশ্রয়ণ প্রকল্প (গুচ্ছগ্রামে) বসবাস করতো। সুরমা নদীতে লাকড়ি তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর শুক্রবার তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাতেই পরিবারের লোকজন তাকে শাহগলি এলাকার একটি গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
Leave a Reply