জকিগঞ্জের আমলশীদে নিজ বাড়িতে মাওলানা ফাহিম আহমদ শাহীন (৩০) নামে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে তাকে ঘরের তীরে সাথে রুমাল দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পাওয়া যায়।
সে জকিগঞ্জ উপজেলার ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের আমলশীদ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের ভাতিজা রেদ্বওয়ান আহমদ জকিগঞ্জ সংবাদকে জানান, আমি মাগরিবের নামাজ শেষে উনার আম্মার কাছে এসে বসেছি। এ সময় উনার আম্মা চা রেডি করে ছেলেকে খোঁজছিলেন। উনাকে না পেয়ে উনার রুমে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় গলায় ফাঁস লাগানো দেখতে পেয়ে চিৎকার দিয়ে আমাকে ডাক দেন। পরে আমি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে সবাইকে ডেকে জড়ো করেছি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সুজন মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করে লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মহসিন মর্তুজা চৌধুরী টিপু, সাবেক চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সারওয়ার হোসেন, জামায়াত নেতা সমাজসেবী আবিদুর রহমান সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এলাকাবাসী জানান, ফাহিম আহমদ শাহীন একজন তরুণ আলেম। প্রায় ৫/৭ বছর থেকে মানসিক সমস্যায় ভূগছিলেন। গত মাস দেড়েক পূর্বে প্রখ্যাত শায়খুল হাদীস আল্লামা মুকাদ্দাস আলী’র ইন্তেকালের পর থেকে তার মানসিক সমস্যা আরও বেড়ে যায়। ব্যক্তিগত জীবনে সে অবিবাহিত ছিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম মুন্না বলেন, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের নিকট পূনরায় লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ পাওয়া যাবে। আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply