জকিগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় গুরুতর আহত মাদ্রাসা ছাত্র নাহিদুল আম্বিয়া (১৩) দীর্ঘ ১১ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে পরাজিত হয়েছে। সে শনিবার (২ অক্টোবর) রাত ১১ টা ৪০ মিনিটের সময় সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। নাহিদুল আম্বিয়া জকিগঞ্জ উপজেলার ৭নং বারঠাকুরী ইউনিয়নের আমলশীদ গ্রামের ইসলাম উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মসজিদের ইমাম এম সাদিকুর রহমান সিদ্দিকী জানান, নাহিদ মূলত জকিগঞ্জের জোবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র। বিগত করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধের সুবাদে পবিত্র ক্বোরআন মুখস্ত করতে বারঠাকুরী শাহ শিতালং (রহ.) মাদ্রাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি হয়েছিল। গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল ৩টার দিকে সে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমলশীদ মহিলা মাদ্রাসার গেইটের পশ্চিমে দশসিটা একটি গাড়ি থেকে নামার সময় এ দূর্ঘটনা ঘটে।
প্রক্ষদর্শীরা জানান, দশসিটা দু’টি গাড়ি প্রতিযোগিতা করে আসছিল। এ সময় একটি গাড়ি থেকে নাহিদ নামার আগেই গাড়ি ছেড়ে দেয়। এ সময় সে রাস্তায় সটকে পড়লে ওই গাড়ির পেছনের চাঁকা মাথায় আঘাত করে।এতে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিছূটা জখম হলেও মাথায় রক্তকরণ হয়ে যায়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক তাকে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট প্রেরণ করেন।
জানা যায়, পরিবারের লোকজন নাহিদকে সিলেট নগরীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করে ৩ দিন চিকিৎসা শেষ কিছুটা সুস্থ্য হলে বাড়িতে নিয়ে আসেন। গত ২৮ সেপ্টেম্বর তার মাথা ব্যাথা বেড়ে অজ্ঞান হয়ে গেলে পুনরায় ইবনে সিনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা নাহিদুল আম্বিয়ার অবস্থার অবনতি দেখে তাৎক্ষণিকভাবে আইসিইউতে ভর্তি করেন। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি কিশোর নাহিদুল আম্বিয়ার। দীর্ঘ ১১ দিন পর শনিবার রাতে সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
আজ রোববার বাদ জোহর স্থানীয় আমলশীদ নতুন জামে মসজিদের সামনে নাহিদের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার মৃত্যুর খবরে পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
Leave a Reply