জকিগঞ্জ-আটগ্রাম সড়কে সিলেটে যাওয়ার পদে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কলেজ ছাত্রীকে চাঁপা দিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট )জকিগঞ্জ থেকে সিলেটে আসার পথে একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই কলেজছাত্রীকে চাপা দিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বেলা দুইটার দিকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মর্মান্তিক এ দূর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান স্থানীয় লুৎফুর রহমান হাইস্কুল এন্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা বেগম (১৭)। সে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর ২নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত আটগ্রাম (জালালাবাদ) গ্রামের দিনমজুর আব্দুস ছালামের মেয়ে। এ সময় নিহত ফাতেমা বেগমের সহপাঠি ও প্রতিবেশী বাড়ির বাসিন্দা কাজী সাদিকা আক্তার (১৭) বাস চাঁপায় গুরুতর আহত হন। আহত সাদিকা আটগ্রাম (কাজিরপাতন) গ্রামের কাজী ইলিয়াস আলীর মেয়ে। সে বর্তমানে সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৬নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ঘটনায় লুৎফুর রহমান হাইস্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙ্গচুর করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, মঙ্গলবার বেলা ২ ঘটিকার দিকে জকিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী অনিকা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি বাস আটগ্রামে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ থেকে বাড়ি ফেরা ছাত্রীদের চাঁপা দিয়ে একটি দোকানে ঢুকে পড়ে। এতে বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই কলেজ ছাত্রী ফাতেমা প্রাণ হারায়। এ সময় তার সঙ্গে থাকা একই শ্রেণীর সহপাঠী কাজী সাদিকা আক্তার গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় আটগ্রাম স্টেশনে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীসহ এলাকার সাধারণ মানুষ সড়ক অবরোধ করেন।
পরে জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার, ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আশরাফুল আম্বিয়া, লুৎফুর রহমান হাইস্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ছালিক আহমদ ও জকিগঞ্জ বাস মালিক সমিতির দেলোয়ার হোসেন নজরুল সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের অনুরোধে ও ঘাতক বাস চালককে দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তির প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেয়।
এ বিষয়ে জকিগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার বলেন, পুলিশ বাসটি জব্দ করেছে। তবে গাড়ির চালককে আটক করা যায়নি। তাঁকে আটক করতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
Leave a Reply