জকিগঞ্জে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরারপথে এক স্কুলছাত্রীকে জনৈক শাকিল নামের বখাটে কর্তৃক এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২১ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত নওয়াগ্রাম বদরুল মাস্টারের বাড়ির সামনে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন-এর নির্দেশে এসআই জসীম উদ্দিন ও এসআই জাহেদ হোসেন-এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে বখাটে শাকিলকে তাৎক্ষণিক আটক করেন।
আটক শাকিল আহমদ (১৮) জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত নওয়াগ্রামের আব্দুর রউফের ছেলে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় লুৎফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও নওয়াগ্রামের ওয়াহিদুর রহমান-এর মেয়ে সুরাইয়া আক্তার (১৬) স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরারপথে একই গ্রামের আব্দুর রউফের বখাটে ছেলে শাকিল হঠাৎ পথরোধ করে অজ্ঞাত কারণে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওই স্কুলছাত্রীর মাথা, কোমর ও পায়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। বিষয়টি জানতে পেরে স্কুলছাত্রী সুরাইয়া’র পরিবারের লোকজন, আত্মীয় স্বজন ও পাড়া-প্রতিবেশী ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই স্কুলছাত্রীর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এম.এ.জি.ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গতকাল রাতে স্কুল ছাত্রী সুরাইয়া আক্তারের অপারেশন হয়েছে বলে তার চাচাতো ভাই ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোশাররফ হোসেন বলেন, আমি ঘটনার খবর পেয়েই সাথে সাথে আসামী গ্রেফতার করতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করি। আমার থানার অফিসার ফোর্স আসামী গ্রেফতারে সাঁড়াশী অভিযান শুরু করলে ঘটনার মাত্র কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে আসামিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগভাবে এ ঘটনার সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। জকিগঞ্জ থানা পুলিশের হাত থেকে কোন অপরাধী কখনো রেহাই পাবেনা বলেও তিনি আস্বস্থ করেন।
Leave a Reply