জকিগঞ্জ শহরে অবস্থিত আইডিয়াল কে.জি. স্কুলে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্কুলের প্রিন্সিপাল কাজী মাওলানা হিফজুর রহমান।
শিক্ষক মাওলানা দেলোয়ার হোসেনের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের সহ সভাপতি ও আল-ইহসান ফিউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাওলানা মুখলিছুর রহমান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জকিগঞ্জ এক্সেলেন্স একাডেমির চেয়ারম্যান আল-ইসলাহ নেতা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জকিগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক কে. এম মামুন, সোনার বাংলা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি জাফরুল ইসলাম, আল-ইহসান একাডেমির সাবেক প্রিন্সিপাল খায়রুল ইসলাম মুন্সী, সাংবাদিক এনামুল হক মুন্না ও জুবায়ের আহমদ প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ভাষার জন্য আত্মোৎসর্গের নজির বিশ্বে একমাত্র আমাদেরই রয়েছে। তাই তো ইউনেস্কো আমাদের আত্মত্যাগের স্বীকৃতি স্বরূপ ২১শে ফেব্রুয়ারি দিনটিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এই ঘোষণা বাংলা ভাষার মর্যাদাকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। এটা নিঃসন্দেহে আমাদের গর্ব ও অহংকার। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরাই আবার এই মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করছি প্রতিনিয়ত। ভাষা আন্দোলনের পর প্রায় সত্তর বছর পার হয়ে গেলেও সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন করা সম্ভব হয়নি এবং শুদ্ধ বাংলা চর্চার তাগিদও নেই। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে শাহাদাতের মধ্য দিয়ে আমাদের বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এখন বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করা আমাদের দায়িত্ব। দেশের অফিস আদালত-সহ সর্বত্র বাংলা ভাষার চর্চা ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
জকিগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের সহকারি শিক্ষক কবি ছালিক আমীনের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিভাবক বিএনপি নেতা ছমরুল ইসলাম, মাওলানা ময়নুল হক, আহমদ হোসাইন আইমান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বিভিন্ন বিষয়ে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে জকিগঞ্জের কৃতিসন্তান ভাষা সৈনিক মতিন উদ্দিন আহমদ সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
Leave a Reply