জকিগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত শাখরপুর গ্রামের নোহা গাড়ি চালক রাসেল আহমদ (৩৫) বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন। মর্মান্তিক এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২ জন।
সোমবার (২৪ জুন) বিকাল ৪ ঘটিকার দিকে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাহজি বাজার রেল ক্রসিংয়ের পাশে ঘটনাটি ঘটে। নিহত ব্যাক্তি জকিগঞ্জ পৌর এলাকার ১ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত শাখরপুর গ্রামের কবির আহমেদের ছেলে।
ঘটনার পর স্থানীয়রা তাদেরকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষনা করেন। অপর দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহতরা হলেন শাহজিবাজার এলাকার মৃত মোজাম্মেল আলীর ছেলে আব্দুস সালাম খাঁন (৫৪) ও জকিগঞ্জ পৌর এলাকার কেছরী গ্রামের মোস্তাক আহমেদ-এর নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সাজিদুর রহমান (১৫)।
জানা যায়, জকিগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর ও কেছরী গ্রামের বাসিন্দা মোস্তাক আহমদ নিজ পরিবারের ৭/৮ জন সদস্য নিয়ে আত্মীয়ের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার শাহজিবাজার এলাকার মৃত মোজাম্মেল আলী খানের ছেলে আব্দুস সালাম খাঁনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। রেল লাইনের পাঁশে নোহা গাড়ি পার্কিং করে সবাই আত্মীয়ের বাড়িতে চলে গেলে আহত সাজিদ-কে সাথে নিয়ে আব্দুস সালাম গাড়ির চালককে নিতে গাড়ির পাঁশে আসেন। পরে চালকসহ তারা বাড়িতে যাওয়ার পথে বিকট শব্দে বজ্রপাত তাদের উপর পড়ে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই শ্যামল কুমার নন্দী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষণ রায় বলেন, বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। সিলেট থেকে আমাদের এখানে বেড়াতে এসে প্রাকৃতিক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হয়েছেন। বাকি আরো ২ জন আহত হয়েছে। আহতরা আপাতত সুস্থ আছেন।
তিনি আরো জানান, নিহত রাসেলের বৈধ স্বজনদের কোন অভিযোগ না থাকায় এবং তাদের অনুরোধে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে নিহত রাসেল আহমদের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় পুরো জকিগঞ্জ জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সে ছিল জকিগঞ্জ শ্রমিক সমিতির সহ সভাপতি। অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র ব্যবহারের অধিকারী রাসেলের এমন মৃত্যু কেউ-ই মেনে নিতে পারছেন না। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ ঘটিকায় জকিগঞ্জ টাউন ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার নামাজে বিপূল সংখ্যক লোক উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে স্থানীয় গোরস্থানে দাফন করা হয়।
Leave a Reply